কাশ্মীরে আড়ম্বরের সাথে উদযাপিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। কাশ্মীরবাসী আজ অনুভব করল স্বাধীনতার ছোঁয়া। ভারতের এই গর্বের দিনে সহস্র প্রণাম নিবেদন করি ভারতকেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের চরণে। আজ তাঁর স্বপ্ন পরিপূর্ণতা লাভ করল।
রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ৭৩ তম ভারতের স্বাধীনতা দিবস এবার ভিন্ন মাত্রা পেল দেশবাসীর কাছে।
এতটা বছর শ্রীনগরে উত্তোলিত হতো তেরঙ্গা পতাকার পাশাপাশি কাশ্মীরের পৃথক পতাকা। এবার তা ঝেরে ফেলেছে ভারত সরকার। ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরে বিলুপ্ত পৃথক পতাকার অস্তিত্ব।
শ্রীনগরের আকাশ কেবল তেরঙ্গাময়।
বাসিন্দাদের উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, “আমি কাশ্মীরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনাদের পরিচিতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না। আপনাদের পরিচিতি নিয়ে কাঁটাছেড়া করা হচ্ছে না। ভারতের সংবিধান প্রত্যেক রাজ্যের আলাদা পরিচিতিকে প্রস্ফুটনের সুযোগ দেয়।কাশ্মীরে কেন্দ্র যেসব পরিবর্তনগুলি করছে তা যে শুধু ঐতিহাসিক তাই নয়। এটা কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য নতুন রাস্তাও খুলে দিল।”
দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত লাদাখবাসী। ঐতিহ্যবাহী চিরাচরিত নৃত্যের পর সাংসদ শেরিং নামগিয়াল প্রথাগত নাগরা বাজালেন।