ছ’মাসের কারাদণ্ড হল টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর । রিল লাইফে নয়, রিয়েল লাইফে । কারাদণ্ড দিয়েছেন আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ চৌধুরী ।
সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বজিতবাবু, ৪ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের ধর্মতলার এক সংস্থার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন ।
সংস্থার কর্তা দর্শন খামানি বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন । তিনি জানিয়েছেন, ধার শোধ করার জন্যে বিশ্বজিৎবাবু যে চেকগুলো দিয়েছিলেন, তার প্রত্যেকটি ব্যাংকে জমা দেবার পর বাউন্স করে যায় । তার মানে, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর একাউন্টে টাকা ছিল না ।
চেক বাউন্সের পরই দর্শনবাবু অভিনেতা বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন । ২০১৭ সালে করা মামলার রায় বের হয় ১৯ জুলাই, শুক্রবার ।
ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ চৌধুরীর নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাপ্যের অতিরিক্ত আরো ৩০ শতাংশ ফেরত দিতে হবে ।শুধু তাই নয়, ১ মাসের মধ্যে ১৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে । নয়তো, আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেবেন আদালত ।
এই অভিযোগমর্মে মুখ খোলেননি বিশ্বজিতবাবু । আইনজীবী সৈকত জানিয়েছেন, নিয়ম মতো কোনও অপরাধে কোন ব্যক্তির দু’বছর কিংবা তার কম সাজা হলে তৎক্ষণাৎ আদালত তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন। এই ঘটনাতেও তাঁর মক্কেল জামিন পেয়েছেন।
এক মাসের মধ্যে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলা দায়ের হবে বলে আইনজীবী সৈকত জানিয়েছেন ।