ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক অতিক্রম করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৭০ জন।
এ মুহূর্তে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লক্ষ ১ হাজার ১৩৯ জনে।
করোনার গ্রাসে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ঘটেছে ১৩৪ জনের।
মোট মৃত্যু ৩ হাজার ১৬৩ জনের।
ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচাইতে ভয়ানক। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৫৮ জন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ২৪৯ জনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৪৪ জনের। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে, ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে সরাসরি করোনার জন্যে। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটিতে।
অসমে আজকের দিনেই মোট ২০ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে সার্স কোভ-২ ভাইরাস। সর্বমোট আক্রান্ত ১৩৫।
# ভারতে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৩০ জানুয়ারি। চিনের উহান ফেরত কেরলের এক ছাত্রী দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত।
# ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অচেনা, নতুন ভাইরাসটির নামকরণ করে। রোগটির নাম কোভিড-১৯ আর ভাইরাসটি SARS CoV-2। ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রথম ৩ করোনা আক্রান্ত সেরে ওঠেন।
# আমরা যদি ভালোভাবে দৃষ্টি দেই, দেখবো যে, পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাটে হাজারে হাজারে মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চলেছেন। অন্যদিকে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো, অরুণাচল, মিজোরাম, মণিপুর প্রায় করোনাশূন্য। বাকি দেশের তুলনায় অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে করোনার প্রকোপ নগণ্য। বর্তমানেও সেই ধারাটা অব্যাহত। তবে অসমে গুয়াহাটি মহানগরে বেশি পরিমাণে শনাক্ত হচ্ছে করোনা রোগি।
পরিসংখ্যান বলছে ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৩৭.৫ শতাংশ। যা আমেরিকা, রাশিয়ার চেয়ে বেশি। ফ্রান্সে যেখানে মৃত্যুর হার ১৯ শতাংশ, সেখানে এ দেশে ৩.২ শতাংশ যা ব্রিটেন, ইটালি, স্পেন, ব্রাজিল, আমেরিকা, ইরান, চিনের চেয়ে কম। সারা বিশ্বের মতো ভারতের গবেষকরাও প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা প্রাণপণে চালিয়ে যাচ্ছেন। ৬ মে কেন্দ্রীয় সরকারের টাস্ক ফোর্সের বৈঠক প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, ভারতে ৩০ ধরনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে।