কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই প্ৰতিবাদে নেমেছে চাকরি প্ৰাৰ্থীরা। বুধবার পুলিশি হেনস্থার কথা জানতে পেরে বিক্ষোভকারীরা জায়গা পরিবর্তন করেছিলেন। বুধবার বিক্ষোভকারীরা হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে Kolkataর এক্সাইড মোড়ে (Exide More) জমায়েত হয়েছিলেন। চাকরি প্ৰার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্দুমার কাণ্ড বাঁধে। টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে চাকরি প্ৰার্থীদের নিয়ে যায় Kolkata Police। সেখানেই চাকরি প্ৰার্থী অরুণিমা পালের হাতে কামড় বসিয়ে দেয় এক নারী Police কর্মী। সেই থেকে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। সমাজের রক্ষক পুলিশের কাছেই যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। পুলিশের এহেন আচরণে চারদিকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শুক্ৰবার অরুণিমা হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখান। এবার সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনেও বলা হল, মানুষের কামড়েই ক্ষত হয়েছে অরুণিমার হাতে। যে পুলিশ কর্মী তাঁর হাতে কামড় দিয়েছিলেন ইভা থাপার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নিৰ্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্ৰবার সকালে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College Hospital) তাঁর স্বামী অরুণিমার হাতের ক্ষত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান। তাঁর হাত পরীক্ষা করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সক লেখেন, হিউম্যান বাইট, অর্থাত্, মানুষের কামড়ের চিহ্ন মিলেছে চাকরিপ্রার্থীর হাতে। অরুণিমাকে ঘটনার পর গ্রেফতার করা হলেও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্ৰসঙ্গত, পুলিশকে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে যে ৩০ জনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্ৰেফতার করা হয়েছিল আদালতে সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জামিন পেয়ে যান ৩০ জন চাকরিপ্ৰার্থী। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুক্তি পেয়েছিলেন ৩০ জনই। এরপর মুক্তি প্ৰার্থী আন্দোলনকারীরা বাড়ি ফিরে যান। অরুণিমা পালও ফিরে গিয়েছিলেন বেলঘরিয়ার বাড়িতে। বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা, মা, স্বামী আর মেয়ে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি। এর পাশপাশি তিনি শঙ্কিত সেদিনের ঘটনায়।
এ সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ তুলে চাকরি প্ৰার্থী Arunima Paul বলেন- এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়, এটা সামাজিক সমস্যা। তাঁর অভিযোগ, চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও আজ তাদের চাকরি বিক্ৰি হয়ে গেছে। তিক্ত অভিজ্ঞতা। এটা সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এটা অবক্ষয়, মানবিকতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ সব তলানিতে ঠেকেছে। এর থেকে সবাইকে বেরোতে হবে।