এবার নাগরিকত্ব আইন, এনপিআর ও এনআরসি’র বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল সাংসদ নুসরাত জাহানকে।
তিনি যা বলতে চাইলেন তা হলো, ‘আমি তো দেখছি এনপিআর, সিএএ–র বিরুদ্ধে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে যেভাবে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন, আন্দোলনের জেরে কেন্দ্রের ঘুম চলে গেছে। দিদি যে কত হেঁটেছেন এই ক’দিনে তার হিসেব নেই। মমতা ব্যানার্জি এই রাজ্যে এনপিআর, সিএএ হতে দেবেন না। আপনাদের মধ্যে এবিষয়ে কোনও সংশয় রাখবেন না। সমস্ত ভয় ঝেড়ে ফেলুন। একজন মানুষের নাগরিকত্ব আমরা কেড়ে নিতে দেব না।’
আদৌ কি সত্যিই কেন্দ্রের ঘুম ছুটে গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর মিটিং মিছিলের দৌরাত্মে?
দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বহুমাত্রিক কাজের পাশাপাশি প্রত্যক্ষ করেছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর অনুপস্থিতি নিয়ে কোন তোয়াক্কা না করে মোদিজি কলকাতা বন্দরের নতুন নামকরণ করলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর। স্বামী বিবেকানন্দের পবিত্র জন্মদিবসে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে নাম বদলের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সূত্রের খবর, বামেদের টাকা ধর্মঘট রোখার জন্যে প্রশাসন নামাচ্ছেন মাঠে, সিএএ’র বিরোধিতা করছেন, বিজেপি বিরোধিতায় নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি’র বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার জন্যে সম্মতি আদায় করে নিচ্ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর, অন্যদিকে তাঁদেরই ডাকা বৈঠক বাতিল করে যোগ দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোডির সঙ্গে বৈঠকে! এভাবে বিরোধিদের চটিয়ে নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখার কৌশল কতটুকু ধরে রাখতে পারবেন তিনি? চেয়ারের জন্যে সব ধরনের রাজনীতি করতে উনি প্রস্তুত।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠককে যতই তিনি সৌজন্য বা রাজ্যের উন্নতির জন্যে জনসমক্ষে দাবি করুন না কেন, বিরোধি দল ক্ষেপে উঠেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে।
প্রশ্ন, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার ৮ মাস পরও মোদিকে শুভেচ্ছা না জানানোটাও কি সৌজন্য ছিল? হঠাৎ কোত্থেকে এতো সৌজন্যতা এলো?
১৮ জানুয়ারি বসিরহাটে নাগরিকপঞ্জি, সিএএ-র বিরুদ্ধে ফের বসিরহাটের গোপালপুর মোড় থেকে খোলাপোতা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার মিছিলে হাঁটেন বসিরহাটের সাংসদ, অভিনেত্রী নুসরত জাহান, ফুটবলার বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, বসিরহাট উত্তর বিধানসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা রনি, বসিরহাটের পুরপ্রধান তপন সরকার, তৃণমূল নেতা সরোজ ব্যানার্জি, বাদল মিত্র, সুবীর সরকার, ছাত্রনেতা শমীক রায় অধিকারী প্রমুখ ছিলেন মিছিলের সামনে।
বিধায়ক দীপেন্দু বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি যতদিন আছেন বাংলায় ক্যা এবং এনপিআর হতে দেবেন না। দিদির আহ্বানে তৃণমূল কর্মীরা রক্ত দিতেও প্রস্তুত।’
সময় কথা বলবে।