কলকাতাঃ এই শাকগুলো আজকাল মানুষ অতটা চেনেই না। অযত্নে বেড়ে ওঠা গাছগুলোরও অনেক উপকারিতা আছে। প্রকৃতি আমাদের কতভাবে প্রতিদিন উপকার করে চলেছে, আর আমরা সেগুলোকে পাত্তাই দেই না। অবহেলা করি; ধ্বংস করি।
তেমনি একটি উপকারি শাক হচ্ছে বেথো শাক। গ্রাম-বাংলার মাঠে-ঘাটে, পুকুর পাড়ে পথের ধারে জমিতে অযত্নে গজিয়ে ওঠা গাছ। মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের ‘ছেলেটা’কবিতার কথা।
কখনো ছাগলে দেয় মুড়িয়ে,
কখনো মাড়িয়ে দেয় গোরুতে–
তবু মরতে চায় না, শক্ত হয়ে ওঠে,
ডাঁটা হয় মোটা,
পাতা হয় চিকন সবুজ।
তবে এই বেথো শাকের অনেক উপকারিতা আছে। মূলত শীতকালেই পাওয়া যায় এই শাক।আসলে শীতকালই শাক সবজির সময়।এই শাকের উপকারিতা সম্পর্কেই আজ দেখে নেবোঃ
বেথো শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, জিংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
১)যদি হঠাৎ গরম জল পড়ে ত্বকের কোনও জায়গা পুড়ে যায়, তাহলে পোড়া অংশে বেথো শাক বেটে মাখিয়ে দিন। এতে করে পুড়ে যাওয়ার ফলে ত্বকে যে জ্বালাভাবে সেটা কমে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।
২) মুখে ঘা হলে বেথো শাক চিবিয়ে খেতে পারলে খেয়ে নিন নয়তো হালকা করে রান্না করে খেলে ঘা তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
৩) প্রস্রাবের সময় অনেকসময় আমাদের জ্বালাপোড়া হয়।
এরকম সমস্যা হলে বেথো শাক বেটে তার সাথে ২ চামচ জিরার গুঁড়ো, ২ চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে শরবত বানিয়ে খান। দিনে দু’বার খাওয়ার চেষ্টা করুন। উপকার মিলবে।
৪)তাছাড়া কিডনিতে পাথর হলে প্রতিদিন ১ কাপ করে বেথো শাকের রস খান।
৫) বেথো শাক কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে। পেটে কৃমি থাকলে বেথো শাকের রস পান করলে কৃমি মরে যায়।দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও।