কলকাতা: আজ এক পবিত্র ক্ষণ। আজ স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) জন্মদিন।উত্তর কলকাতার সিমলায় জন্মগ্ৰহণ করেছিলেন Swami Vivekananda।
আজ ১২ জানুয়ারি। যুগপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। উনিশ শতকের ধাঁধানো ধর্ম এবং সামাজিক ভাবনা। শতাব্দী পাল্টে গেছে, পাল্টায়নি সেই প্রেক্ষাপটের। Swami Vivekananda প্রাসঙ্গিক অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতে বারে বারে।
দেশের চারপাশ যখন ধর্মান্ধ -কুসংস্কারে ছেয়ে যাচ্ছে, চারপাশ যখন ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলায় নিজেকে মাতিয়ে রেখেছে, এমন এক ক্রান্তিকালে বিবেকানন্দ ভারতবাসী, বিশ্ববাসীর পথ প্রদর্শক।
ধর্ম সম্পর্কে ধারণা ধর্ম ও কুসংস্কার নিয়ে স্বামীজির একটি অমর বাণী, ‘দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়, আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয়। আমাদের নিম্নশ্রেণীর জন্য কর্তব্য এই, কেবল তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়া এবং তাহাদের বিনষ্টপ্রায় ব্যক্তিত্ববোধ জাগাইয়া তোলা।’
বিবেকানন্দের প্রচুর বাণী আমাদের জাগতে শিখিয়েছে। এখনো শেখাচ্ছে।“বিশ্বাস, বিশ্বাস, সহানুভূতি, অগ্নিময় বিশ্বাস, অগ্নিময় সহানুভূতি।… তুচ্ছজীবন, তুচ্ছ ক্ষুধা, তুচ্ছ শীত। …অগ্রসর হও। …পশ্চাতে চাহিও না। কে পড়িল দেখিতে যাইও না। এগিয়ে যাও—সম্মুখে। এইরূপেই আমরা অগ্রগামী হইব—একজন পড়িবে, আর একজন তাহার স্থান অধিকার করিবে।
অন্ধকার দিকের পর্দা সরিয়ে স্বামী হিন্দুর জীবনবোধকে আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত করেছেন। উদ্বুদ্ধ হয়েছে যুব সমাজ, আর সেজন্যই তার জন্মদিন ১২ জানুয়ারি যুব দিবস বলে খ্যাত। অর্থাৎ আজ যুব দিবসও বটে। রামকৃষ্ণ মঠে হবে বিশেষ আয়োজন।