কলকাতা:তৃণমূলের নেতা কর্মীদের কার্য দেখে এখন রীতিমতো মুখ লুকনোর মতো অবস্থা হয়েছে অন্যান্যদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়র কাণ্ড নিয়ে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় গোটা ভারতে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে।
মানুষের ঘরে কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, বেকারত্ব জ্বালামুখীর মতো, অথচ এক একজনের ঘরের থেকে বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা বেরোচ্ছে। যেগুলো মেশিন দিয়ে গুণতে হচ্ছে।
কলঙ্কের ছোঁয়া আগেও লেগেছে তৃণমূলে, এবার তো আরো। তাই মাঠে নামতে হচ্ছে ফিরহাদ হাকিমদের। প্রাক্তন সহকর্মী ও রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম ও ব্রাত্য বসু বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন তার জন্য লজ্জিত দলের বাকিরা। কিন্তু, তার মানে এটা নয়, যে দলের বাকিরাও দুর্নীতিগ্রস্থ।
উল্লেখযোগ্য যে, সম্প্রতি রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা আদালতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু সহ তৃণমূল নেতারা।মুখ রক্ষার চেষ্টা চলছে।
সেই বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রীদের দাবি যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় তৃণমূল নেতাদের নাম ছাড়াও বাম-কংগ্রেস নেতাদের নাম রয়েছে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনার পর রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ১৯ জন তৃণমূল নেতার নাম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ”পার্থ যা করেছেন, তার জন্য আমরা অত্যন্ত লজ্জিত। আমি এই পার্থকে চিনতাম না। তবে তার মানে এই নয় যে তৃণমূলের সবাই চোর। তৃণমূল করা মানেই চোর নয়। দল এরকম কাজকে সমর্থন করে না। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” পশ্চিমবঙ্গের এমন ঘটনায় গোটা দেশে ছিঃ ছিঃ পড়েছে।
তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখা আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় পার্টি হিসেবে ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “রোজগার করা কোনও অন্যায় নয়। যাকে হোক জিজ্ঞাসা করে দেখুন, ববি হাকিম কোনওদিন কোনও টাকা নেয়নি।”