লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে, সংসদে প্রথমদিন প্রবেশ, শপথ গ্রহণে অনুপস্থিত, রাজনৈতিক জীবনে প্রথম পা রেখেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান।
এবার ফের বিতর্কে তারকা-সাংসদ নুসরাত। মুসলিম ধর্মের মেয়ে হয়ে মাথায় সিঁদুর-হিন্দু বেশভূষায় ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের কড়া সমালোচনায় পড়লেন নুসরাত। তাঁর উপর জারি হয়েছে ফতোয়াও।
মুসলিম হয়েও একজন অমুসলিমকে বিয়ে করা এবং সিঁদুর পরে সংসদে শপথবাক্য পাঠ ও বক্তব্য রাখা, জয় হিন্দ ও বন্দেমাতরম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানের উপর চটেছেন ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা। নুসরাতের বিরুদ্ধে উত্তর ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে জারি করা হয়েছে ফতোয়া।
এই বিষয়ে গেরুয়া শিবিরের একাধিক মহিলা সাংসদ পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদ নুসরাত জাহানের। পাশে দাঁড়িয়েছেন নুসরাতের বান্ধবী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন খোদ নুসরাতও।
এবার নুসরাতের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মন্তব্যকারী উলেমাদের ধিক্কার জানিয়ে কড়া ভাষায় নিজের ট্যুইটারে ট্যুইট করেন খোদ তসলিমা।
তিনি লিখেন, ‘নুসরাত জাহান, একজন মুসলিম, তিনি বিয়ে করেছেন অমুসলিম নিখিল জৈনকে। হিন্দু প্রথা মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। দু’জনের কেউই তো ধর্মান্তরিত হননি! কিন্তু দেওবন্দের মৌলবীরা এতে বেজায় চটলেন। তাঁরা চান অমুসলিমরা বিয়ের আগে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে যাক। চুলোয় যাক। দু’জন ভিনধর্মে বিশ্বাসী মানুষ বিয়ে করলেন।বেশ করেছেন’।
Nushrat Jahan a Muslim married Nikhil Jain a non-Muslim.Had Hindu wedding rituals.None was converted to other's religion. But Deoband's clerics are angry.They want non-Muslims get converted to Islam before marrying Muslims.Fuck'em.Say YES to interfaith marriage& NO to conversion.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) June 30, 2019