কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ এখন খবরের শিরোনামে, দুর্নীতির জন্যে। এক একজন হেভিওয়েট নেতা গ্রেফতার হচ্ছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল। দুর্নীতি আর গ্রেফতারি, এখন শুধু এই চলছে। পাল্টা তৃণমূল সুর চড়িয়ে প্রতিবাদে নামছে।
পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতি (corruption) ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। আজ, মঙ্গলবার সকালে রাজভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) ও অন্যান্য নেতারা।
এদিকে, সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন। রাজভবনের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “দুর্নীতিতে যদি নাম জড়ায়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ইডি-সিবিআই (ED-CBI) যাবে”।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “একদল মানুষ রাজনীতিকে উপার্জনের জায়গা বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু সেটা মেনে নেওয়া যায় না। রাজনীতি কোনওদিনও উপার্জনের জায়গা হতে পারে না। মোদীজি বারবার সেটা প্রমাণ করেছেন”।
সুকান্ত বলেন, “যারা যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাঁদের কেউ রেহাই পাবে না।অনুব্রতকে গোটা ঘটনার দায় নিতেই হবে। কারণ সায়গল পুলিশ কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক নেতা পিছনে না থাকলে এত লেনদেন হতে পারে না”।
আর খেলা শুধু তৃণমূল পারে না। আজ ১৬ আগস্ট, তৃণমূলের ‘খেলা হবে দিবস’। এই নিয়ে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “খেলতে আমরাও পারি। ওরা পুলিশকে সরিয়ে প্লে গ্রাউন্ডে আসুক। আমরা খেলব”।
উল্লেখযোগ্য যে, এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আশঙ্কা নিয়েই রাজ্যপালের কাছে এসেছি। গতকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। যেভাবে একের পর এক মন্ত্রী, তৃণমূলের নেতারা চুরি, গরুপাচার এবং টাকা রাখার দায়ে ধরা পড়ছেন, তাতে আগামী দিনে হয়ত আরও বাড়বে।
গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূল সম্পূর্ণ ব্যাকফুটে। বাংলার বাসে, ট্রামে চোর চোর শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হিংসাই একমাত্র আশ্রয় তৃণমূলের। গণতান্ত্রিক ভাবে লড়তে না পেরে, আদর্শের লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পেরে, পুলিশকে সামনে রেখে এই কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”