কলকাতা: সেই সময়ের দুর্গা পুজো (durga puja) মানে কাকে বলে আনন্দ! দুর্গা পূজার (durga puja) প্যাণ্ডেলের বাঁশ বাঁধা হয়ে গেলেই সেখানে দোল খাওয়া শুরু হতো। সবাই মিলে খেলা, দৌড়াদৌড়ি। এ সময় টিকিটিরও নাগাল পাওয়া যেত না।
সেই সময়ে পুজো (durga puja) চারদিনই চলত, এখানকার মতো দশদিন নয় । অষ্টমী পর্যন্ত ছিল দেদার আনন্দ। নবমীর রাত এলেই চোখে জল চলে আসত। আর মনে করতাম মায়ের চোখেও বুঝি জল, কারণ এই একটা রাতই তো বাকি, তার পরদিনই বিসর্জন। ভাবতেই মনটা কেমন অকুলি বিকুলি করতে থাকত।
কীভাবে যে আনন্দে আনন্দে চারটে দিন কেটে যেত তা বোঝাই যেত না। বেশির ভাগ পুজো (durga puja) মণ্ডপে ঠাকুর অর্ধেক তৈরি অবস্থায় আসতো পরে বাঁশের মাচায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রঙ করা হতো। সেই প্যান্ডেলের বাঁশ নামানো থেকে মা দুর্গার (durga puja) চক্ষুদান পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা চলতো ।
একটু অবস্থাপন্ন ঘরের বাচ্চাদের দুটো জামা কাপড় হলেও আমাদের একটিই।আর একজোড়া জুতো। তাও একবছর হলে পরের বছর সেটা দিয়েই চালাতে হতো।
আমি ভীষণভাবে বন্দুক নিয়ে খেলতাম পুজোর (durga puja) সময়। পুজোর সময় সাত সকালেই ঘুম ভেঙে যেত। ঘুম থেকে উঠে পুজোর (durga puja) প্যান্ডেলে একবার ঘুরে আসা ছিল প্রত্যেকের কাছে অদম্য আকর্ষণের বিষয়।
সাথে বাইরে খাওয়া দাওয়া তো আছেই। খুচরো পয়সা থাকত সাথে। আর কোনো উৎসবে পান খাওয়াটা বিরাট বড় ব্যাপার ছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে পান খেতাম, বিশ্ব জয়ের আনন্দ হতো মনে। আজকাল সেসব আর নেই। এখন আছে শুধু মোবাইল।