কলকাতা: Voter ID, রেশন কার্ডে যেসব নাম আসছে– চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার অবস্থা। এবার তো দত্ত হয়ে গেল কুত্তা! ভাবা যায়?
আর প্রতিবাদ করার ধরনও হয়েছে অভিনব। ভালো পোশাক, হাতে ব্যাগ আর কতকগুলো কাগজ নিয়ে প্রায় বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি সরকারি এক আধিকারিকের গাড়ির দরজায় মুখ রেখে ঘেউ ঘেউ (Dog Bark) করে চিৎকার করে যাচ্ছেন!
নাম যখন এমন এসেছে, তখন এভাবে প্রতিবাদ করতেও আপত্তি নেই। বাঁকুড়ার দু’নম্বর ব্লকের বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar Camp) ক্যাম্পে এহেন দৃশ্য দেখে সবাই অবাক।
ঘটনাটা আসলে ঘটেছে কী?
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া-২ নম্বর ব্লকের বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশিয়াকোল গ্রামের শ্রীকান্তি দত্ত পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও সরবরাহ দফতর থেকে যে আরকেএসওয়াই রেশন কার্ড পেয়েছেন, এটা প্রথম থেকেই একেবারে ভুলে ভুল।
এত ভুল কীভাবে হয় সে নিয়েই এখন আলোচনা চলছে। প্রথমে তাঁর পদবি দত্তের জায়গায় মণ্ডল হয়েছে। তারপর ত্রুটি সংশোধনে শ্রীকান্তি হয়েছে শ্রীকান্ত। আর শেষে সেই ভুল সংশোধনে দত্ত পদবী হয়ে গিয়েছে ‘কুত্তা’। হায় ঈশ্বর! দত্ত হয়ে যায় কুত্তা।
শ্রীকান্তি বাবু ভীষণ অসম্মানিত বোধ করেছেন এই ঘটনায়। বুধবার বিকনা গ্রামে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প জয়েন্ট বিডিও পরিদর্শনে এলে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করে এভাবেই ‘প্রতিবাদ’ জানিয়েছেন শ্রীকান্তি দত্ত।
শ্রীকান্তি দত্ত জানিয়েছেন, ‘রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম, প্রথম পর্যায়ে রেশন কার্ড হাতে পেলে দেখি আমি শ্রীকান্তি দত্ত হয়ে গিয়েছি শ্রীকান্ত মণ্ডল। সংশোধনের পর আমি হলাম শ্রীকান্ত কুমার দত্ত।
ফের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করলাম। এরপর আর মানুষ নয়, হয়ে গেলাম কুকুর! শ্রীকান্তি দত্তের জায়গায় শ্রীকান্তি কুমার কুত্তা এলো আমার নাম।’
খুব কষ্ট পেয়েছেন তিনি এই ঘটনায়। সাধরণ মানুষ এইসব ব্যাপারে খুব বিব্রত হচ্ছে। মানুষ কাজ করবে নাকি এইগুলা সংশোধন করার পেছনে ছুটবে!
জানা যাচ্ছে, সিএন-এ এই খবর প্রচারিত হতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এবং নিজের পদবি ফিরে পান শ্রীকান্তি কুমার দত্ত।