ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কার করে যুগান্তকারী মাইলফলক সৃষ্টি করলেন বাঙালি বিজ্ঞানী ডঃ অর্ঘ্য অধিকারি।
তবে কোন দুষ্প্রাপ্য জিনিস দিয়ে তিনি এই ওষুধ আবিষ্কার করেননি। আমাদের রান্নায় নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যবহৃত সামান্য কালোজিরের মধ্যেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন সেই সঞ্জীবনী সুধা।
কালোজিরে থেকে আবিষ্কার করা ওষুধ সারাতে পারে স্তন ও ফুসফুসের ক্যান্সারও ।
ডঃ অধিকারী প্রথমত এই ওষুধ ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে দেখেছেন। এবং সে কার্যে তিনি সফলতা লাভ করেছেন।
ডঃ অর্ঘ্য জানিয়েছেন, ‘ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা, যাকে আমরা ন্যানোপার্টিক্যাল বলে থাকি, তাকে দু’ভাবে কাজে লাগানো যায়। প্রথমত, একে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে। তখন এই ন্যানোপার্টিক্যাল হয়ে যায় ন্যানোমেডিসিন।
দ্বিতীয়ত, ন্যানোভেহিক্যাল। একে অ্যাপ ক্যাবের মতো ব্যবহার করা যায়। ঠিক যেমন আমরা অ্যাপে পিক আপ লোকেশন আর ডেস্টিনেশন দিয়ে দিলে ক্যাব জিপিএস দেখে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যায়, ঠিক সেইভাবে ন্যানোপার্টিক্যালকে দিয়ে কাজ করানো যায় । এর নাম টার্গেটেড থেরাপি ।
ক্যান্সার আক্রান্ত অঙ্গ চিহ্নিত করে প্রথমে ম্যাপিং করে তারপর ওষুধটি খাইয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া, উল্লেখযোগ্য হল, ডঃ অর্ঘ্য অধিকারি আবিষ্কৃত এই ওষুধ যে অঙ্গ অসুস্থ, সেখানেই পৌঁছচ্ছে। অন্যান্য সুস্থ অঙ্গে গিয়ে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে না।
ডঃ অধিকারির ক্যানসার ওষুধ আবিষ্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের সেন্টার ফর রিসার্চ ইন ন্যানোসায়েন্স অ্যান্ড ন্যানোটেকনোলজির গবেষণাগারে।