পূর্বের আশংকাই হলো! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে গিয়ে ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের কোপে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রচণ্ড উত্তেজনায় ফুটতে থাকে ছেলে-মেয়েরা।
সকাল সাড়ে ১০ টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট দিয়ে তাঁর গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। ঘিরে ধরেন তাঁকে।
যথারীতি গতকালের মতোই এদিনও ধনকড়কে কালো পতাকা প্রদর্শন এবং গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে ক্রমাগত।
নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কটও করে দেন। পরে উপায় না পেয়ে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যেতেই শুরু হয়েছে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে দেখে বাধ্য হয়ে সেই ঘেরাও অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশকে ফোন করেন রাজ্যপাল।
শুধু তাই নয়, টুইট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যপাল এদিন।
বিক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনের জন্যই এই অবস্থা। আমি ফোন করলে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলেও জানিয়ে দেন। উনি ব্যবস্থা নিতে না পারলে সরে যান। দায়িত্ব থাকার মানে কী? স্বল্পসংখ্যক লোক আমাকে বাধা দিচ্ছে। তাদের বলছি আগুন নিয়ে খেলবেন না।”
বর্তমানের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল।
I am amazed that the Vice Chancellor is in passive mode and silent spectator to this unseemly spectacle that augurs painful sliding of our system. This action is orchestrated by the powers that be not knowing the damage it causes in short and long run on out education.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 24, 2019
.@MamataOfficial. Am surprised that inspite of my directive to VC to go by rule book and abide by my direction as regards Convocation, the same has been started. In utter helplessness as of now I am leaving the Jadavpur University campus. Those concerned must soul search.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 24, 2019