কলকাতা: দিলীপ ঘোষ সবসময়ই কাঠখোট্টা। সাফভাবে যখন যা ভাবেন মুখের বের করেনই। এবায বললেন দুটো উইকেট পড়েছে, অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে। এখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে। এবং তার বিশ দিন পর অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। রাজ্য–রাজনীতির প্রেক্ষাপটে পদ খালি বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বলেন, ‘পদ খালি তো আরও বেশি হওয়া উচিত। তবে দুটো উইকেট পড়েছে। আরও অনেক বেশি পড়বে আমার ধারণা। এরপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে হয় জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। পার্টির যদি মিটিং করতে হয় জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। কারণ বেশিরভাগ নেতা মন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত।
তাই সাধারণ মানুষই কোর্টে গেছে। কোর্ট সিবিআই তদন্ত দিয়েছে, সেই সিবিআই তদন্তে ধরা পড়ছে সব। যারা রাজনীতি করছেন, তারা মাথা ঠিক করুন।’
এর আগেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মুখে পরিষ্কার কথা।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘চোর ডাকাতদের কোন মান সম্মান থাকে না। মোদীজি না দিলীপ ঘোষ কে কেস করেছে? সাধারণ মানুষ কেস করেছেন।
নারদা আর সারদার কেস কে করেছে? সাধারণ মানুষ কেস করেছে। পার্টি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরে। এসএসসি, টেট দুর্নীতি–সহ গরু পাচার, কয়লা পাচার হয়েছে। এতদিন লুঠ করছিলেন, ভাবছিলেন কেউ কিছু করবে না।
আজ যখন দেখছেন ব্যাপারটা উল্টো হয়ে গিয়েছে তখন উল্টোপাল্টা বলছেন। আইন থেকে কেউ বাঁচবেন না।’ হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা গেল।
এর আগে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাকি জীবনটা যেন জেলে থাকে, সেই বন্দোবস্তই হওয়া উচিত’।দিলীপ ঘোষ বলেন, ”বহু মানুষের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করেছে। বহু পরিবারকে সর্বশান্ত করেছে। গরিব একটা জেলা বীরভূম, তাকে আরও শোষণ করেছে। জেলার মানুষের হাহাকারের ফল তো ভুগতে হবে।”
অনুব্রতকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, ”অক্সিজেন কম থাকায় যদি এত উৎপাত করে, তবে অক্সিজেন ঠিকঠাক গেলে কি করত এই লোকটা? এই ধরনের লোককে সমাজ থেকে আলাদা করা দরকার। বাকি জীবনটা যেন জেলে থাকে, সেই বন্দোবস্ত হওয়া উচিত।
আরও দু’একজনকে ধরলে হয়তো পুরো প্রশাসনটাই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় এই লোকটার বিরাট হাত আছে। এই ধরনের লোক যেন মোটেই জেলের বাইরে না থাকে।”