কলকাতাঃ তৃণমূল রং পাল্টাচ্ছে নাকি! তৃণমূলের অন্দরে যেরকম অবস্থা এখন তাতে করে এমন প্রশ্নই দানা বেঁধে উঠছে। যা দেখা গেল তা আরো বিস্ময়কর। ভবানীপুর, কালীঘাট, হাজরায় পড়েছে তৃণমূলের এক পোস্টার। কিন্তু আশ্চর্য হচ্ছে সেই পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই নেই। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়র ছবিতে ছয়লাপ।
দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে পুরো হোর্ডিং পড়ে গেছে। লেখা ‘নতুন তৃণমূল’।সেই হোর্ডিংয়েই রয়েছে শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাওয়া!এই ঘটনাটি যা অনেকের কাছে বিস্ময়ের মনে হচ্ছে।কারণ একথা দল কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র একক ক্যারিশ্মায় ক্ষমতায় উঠে এসেছে।অথচ হোর্ডিং্যে মমতার ছবি নেই, এ বড় আশ্চর্যের।
রাসবিহারী, কালিঘাট, ভবানীপুর-সহ নানান এলাকায় পড়েছে পোস্টার। কোনও পোস্টারে লেখা আছে, ‘আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।’ আবার কোনও পোস্টারে লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন। এই লড়াই আমাদের ২৪ এর লড়াই।’
আর দিলীপ ঘোষ মুখ খুলবেন না তা কি হয়? বুধবার এই হোর্ডিংয়ের সমালোচনা করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
খড়গপুরের ইন্দা বাজারে চা–চক্রে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘দুর্নীতির হাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ইঞ্চি সাইজ থেকে ফুট সাইজ তৃণমূল কংগ্রেসের সব নেতারাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই মানুষকে বোকা বানানোর একটি নতুন ফান্ডা তৈরি করা হয়েছে।’
এদিকে, এহেন নতুন পোস্টার সম্পর্কে কুণাল অবশ্য হাল্কাভাবে বলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যে দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে বিরোধীরা এই পোস্টার নিয়ে কথা বলছেন, সেখান থেকে সরে আসা ভালো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও সংলাপকে ব্যবহার করেই কেউ এই হোর্ডিং দিয়েছেন। এটা তো খুব স্বাভাবিক বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দিয়েও হোর্ডিং তৈরি হয়। এখানে এত আলোচনার কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, অভিষেক সেনাপতি। আর নতুন তৃণমূলের কথা অভিষেক বহুবার বলেছেন’।
এদিকে আবার জানা গিয়েছে, বিতর্ক শুরু হতেই নাকি হোর্ডিংগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এবং জানা গিয়েছে, প্রতিটি পোস্টারের নিচে লেখা ছিল, ‘আশ্রিতা ও কলরব।’