এরা কারা? মুখে কালো মুখোশ। হাতে লাঠি, রড, হাতুড়ি। ৩ ঘন্টা জুড়ে তাণ্ডব চালালো বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফের রক্তাক্ত হলো চত্বর রক্তাক্ত।
মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রায় ৫০ জনের একটি দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। বামপন্থী স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি ঐশী ঘোষের মাথায়। গুরুতর জখম অবস্থায় এইমসের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
আহতের সংখ্যা ২৬।
আহতরা তীব্র দাবি জানাচ্ছে, বহিরাগতরা বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)-এর সদস্য। প্রায় ১০০ কালো মুখোশধারী এই তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশের সামনে। কিন্তু কার্যত নীরব ছিল পুলিশ। তাঁদের বিস্ফোরক মন্তব্যে দেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আরো।
ঘটনা ঠিক কি ছিল গতকাল জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে?
হোস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্প্রতি সরব হয়েছিল জেএনইউ পড়ুয়ারা। তার রেশ ধরেই রবিবার সন্ধ্যে ৬.৩০ নাগাদ ‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের’ ডাক দেন জেএনইউএর টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। ক্যাম্পাসে এবিভিপি এবং বাম সংগঠনের নেতাদের তীব্র ঝগড়ার একদিন পরই এই মিছিলের ডাক দেন তাঁরা। সে উদ্দেশে জড়ো হয়েছিলেন সকলে। এরপরই শুরু হয় অতর্কিত জঙ্গী হামলা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৭.৩০ নাগাদ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বামের বিরুদ্ধে। ক্ষোভ উজাড় করে তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের কেউ মার খেলে এমন ক্ষোভ দেখা যায় না কিন্তু কমিউনিস্টরা মার খেলেই যত গোলমাল হয়। কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময় হয়েছে, এমনটা আরও হবে।”
তিনি আরো বলেন, “কে বা কারা মেরেছে সেটা জানি না। অভিযোগ উঠলেই তো কিছু প্রমাণিত হয় না। তবে এটা মানতে হবে যে কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময় এসেছে।”
উল্লেখযোগ্য যে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এবং জামিয়া মিলিয়ায় প্রহৃত পড়ুয়াদের সমর্থনে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলমান জেএনইউ-তে। রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে বিজেপিকে পাখির চোখ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তার থেকেই এই হামলা।