এবার গরুর দুধে সোনার হদিশ দিলেন বাংলার বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
সোমবার দিলীপবাবু বর্ধমান টাউন হলে গাভী কল্যাণ সমিতির সভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, “গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে। ওই জন্য গরুর দুধের রং সোনালি হয়।” শুধু কী এই বলেই ক্ষান্ত থেকেছেন তিনি? না তা মোটেও নয়।এখানেই থামেননি দিলীপবাবু। তিনি বলে চলেন, “দেশি গরুর কুঁজে স্বর্ণনাড়ি থাকে। সেখানে সূর্যের আলো পড়লেই সোনা বের হয়।”
বর্ধমান শহরের টাউনহলে ‘ঘোষ এবং গাভীকল্যাণ সমিতি’র সভায় সোমবার দিলীপ বাবুর এমনই দাবি জানিয়েছেন।
রাজ্য সভাপতির ব্যাখ্যায় গবেষক মহলের চক্ষু চড়কগাছ!
এর আগে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি মন্ত্রী রেখা আর্য দাবি করেছিলেন, ‘‘গরুই একমাত্র পশু, যে শ্বাস গ্রহণের সময় শুধু অক্সিজেন গ্রহণ করে না, প্রশ্বাসের সঙ্গে তা পরিবেশে ফিরিয়েও দেয়।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপক তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “গরুর দুধে সোনা: এমন গবেষণা কোথায় হয়েছে তা জানতেব পারলে ধন্য হতাম।”
ষাটোর্দ্ধ এক প্রোঢ় ‘নর্থ এস্ট নাও’-এর সাংবাদিকের ক্যামেরা সামনে দাঁড়িয়ে হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
তিনি যা বললেন, “আমরা এমন সব রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করছি। যাঁরা বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি তো দূরের কথা, ‘সহজপাঠ’ এর লেখকের নামটাও বলতে পারেন না। আসলে আমরা মুর্খ নই। আমাদের হাজারো দল থেকে নির্বাচনের পূর্বে এমন ললিপপ দেখানো হয় যে, আমরা লোভে নয়, এটুকু ভেবে ভোটটা দিয়ে থাকি যে, অন্তত সমাজে শান্তি, মানবতা, নারী-পুরুষে সমতা ফিরে আসবে। আমরা লাভ করবো একজন চরিত্রবান নেতা। কিন্তু সব ভাওতাবাজি ধরা পড়ে নির্বাচনে জিতে কুরসিতে বসার পর। চিনির ভেতর থেকে বেরোয় চিরতা, এক একজন স্বার্থপর, মুর্খ।”