কলকাতা:আবার সরব দিলীপ ঘোষ একদম বরাবরের মতো। পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নেই। ভবিষ্যৎ নিয়ে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন দিলীপ। কটাক্ষ ঠিক নয়, টিপ্পনি বলা যায়।
ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলার মানুষ অন্য মুডে আছে ওরা যদি রাস্তায় বের হয় পাবলিকও রাস্তায় বেরোবে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হয়ে যাবে এখানে। তাড়া করে করে মারবে নেতা ও মন্ত্রীদের।”
অর্থাৎ শ্রীলঙ্কায় যেমন জনরোষের মুখে পড়েছেন নেতারা। গোতাবায়া তো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।শ্রীলঙ্কার মতো রাজ্যের অবস্থা হবে বলে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গের এখন অন্য কোনো খবর নেই। শুধু দুর্নীতির খবর। আবার পাল্টা পথেও নেমেছে তৃণমূল। দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওরা ভেবেছিল পার্থদা দিয়ে শেষ হয়ে যাবে। হল না। আর প্রতি সপ্তাহে যদি একটা করে তোলে হয়ে যাবে। সেজন্য একটুখানি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে।
সমস্ত পার্টিটা দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাংলার মানুষ অন্য মুডে আছে ওরা যদি রাস্তায় বের হয় পাবলিকও রাস্তায় বেরোবে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হয়ে যাবে। তাড়া করে করে মারবে নেতা ও মন্ত্রীদের।”
তৃণমূলকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওঁরা ভেবেছিল পার্থকে দিয়ে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা তো আর হল না। প্রতি সপ্তাহে যদি একটা করে তোলে, তা হলে হয়ে যাবে। দলটাই উঠে যাবে। কী করে সিন্ডিকেট চলবে! সেজন্য একটুখানি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে।
বাংলার মানুষ অন্য মুডে আছে, ওঁরা যদি রাস্তায় বের হয় পাবলিকও রাস্তায় বেরোবে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হয়ে যাবে। তাড়া করে করে মারবে টিএমসি নেতা ও মন্ত্রীদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে দিলীপ বলেন, দিদি এখন মৌন হয়েছেন। আর ভাইপোও এখন মৌন হয়েছেন। একুশে জুলাই যে বড় বড় কথাগুলো বলেছিলেন সেগুলোই এখন মানুষ ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি যাঁদের উপর ভরসা করে কথাগুলো বলেছিলেন, তাঁরা ডুবিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”বহু মানুষের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করেছে। বহু পরিবারকে সর্বশান্ত করেছে। গরিব একটা জেলা বীরভূম, তাকে আরও শোষণ করেছে। জেলার মানুষের হাহাকারের ফল তো ভুগতে হবে।”
অনুব্রতকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, ”অক্সিজেন কম থাকায় যদি এত উৎপাত করে, তবে অক্সিজেন ঠিকঠাক গেলে কি করত এই লোকটা? এই ধরনের লোককে সমাজ থেকে আলাদা করা দরকার। বাকি জীবনটা যেন জেলে থাকে, সেই বন্দোবস্ত হওয়া উচিত।