নোংরা, বীভৎস রাজনীতির হাত থেকে রেহাই নেই মনীষিদেরও! মূর্তি ভাঙা তো নয়, ভারতের সংস্কৃতি সভ্যতা নষ্ট করা। ফাঁকা রাজনীতি টুকরো টুকরো করছে মানুষকে। সভ্যতাকে।
নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দুষ্কৃতিরা ভেঙে ফেলেছে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি। স্বামীজির মূর্তি কে বা কারা ভেঙেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
মূর্তি ভাঙার খেলা চলছে ভারতে। কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর এবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস!
মূর্তি ভেঙেছে, দু-দিন পরই গড়ে উঠবে আরো নতুন করে, অত্যধিক টাকায়। কিন্তু ভাঙা-গড়ার রাজনীতির মাঝে দেশের আদর্শ, সংস্কৃতির দিকে একটুও খেয়াল আছে কি নষ্ট বুদ্ধিজীবি অথবা রাজনীতিকদের! প্রশ্ন জনসাধারণের। নোংরা রাজনীতি ধ্বংস করে ফেলছে ভারতীয় সংস্কৃতি, সভ্যতা!
মহান মনীষী স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙার পাশাপাশি মূর্তির পাদদেশে গেরুয়া দলের উদ্দেশে অশ্লীল ভাষায় বেশ কিছু মন্তব্য লেখা হয়েছে।
শিক্ষা মহল উত্তেজিত মর্মান্তিক এই ঘটনায়।
সূত্রে জানা গেছে, জেএনইউ চত্বরে বিবেকানন্দের মূর্তিটি কয়েকদিন পরই উন্মোচন হওয়ার কথা ছিল।
ছাত্র সংসদ দাবি জানিয়েছে, বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙার মতো সংস্কৃতিহীন, অভব্য কাজ জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা করতে পারে না। তাঁরা আরো জানাচ্ছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোনও ধরনের গুন্ডামিকে সমর্থন করে না। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য বহিরাগতদেরই দায়ী করা হয়েছে।
লজ্জাজনক, নিন্দনীয় এই ঘটনার শীঘ্রই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।