পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ প্রকারান্তরে সিএএ বিরোধি মঞ্চ থেকে বাংলার মানুষকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যতদিন তৃণমূল গদিতে আছে ততদিন তাঁরা নিরাপদ!
“আপনার মাথার ওপর একটা আশ্রয় আছে, সে আশ্রয়টা যাতে চলে না যায়, সেটা তার আন্দোলন।”
আদৌ কী এ জনগণকে অস্তিস্ত্ব টিকিয়ে রাখার ইতিবাচক মন্তব্য নাকি নিজের গদি হারানোর শংকা? মমতা যে আগামি বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে গভীর চিন্তিত, তা আজকের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমাণ হয়ে গেল।
নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সোমবার পুরুলিয়ায় মহামিছিলে যোগদান করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মাথার ওপর ছাদের কথা উল্লেখ করার সময় মমতাকে বেশ সন্ত্রস্ত দেখিয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চলছে চাপান-উতোর। তাহলে কি আগামি বিধানসভা নির্বাচনে আসন হারানোর ভয়ে ভীত মমতা?
এদিন কলকাতা পেরিয়ে পুরুলিয়ায় মিছিল শুরুর পূর্বে বিজেপিকে নিশানা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘এনআরসির নামে দেশ থেকে মানুষকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। সারা দেশে বিজেপিকে একা করে দিন’’।
যদিও এই একা তিনি উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও ভারতীয় জনতা দলকে করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিরোধি ঐক্যের অন্যতম পুরোধা ছিলেন মমতা। কাজে আসেনি।
টেক্কা দিয়ে মন্ত্রীসভা দখল করে নিয়েছেন মোদি-শাহ।
এবার ফের নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ইস্যু করে বিরোধি ঐক্য জমাতে চাইছেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। এবং এরজন্যে তিনি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকেই ভালোভাবে বেছে নিতে চাইলেন। বিজেপি বিরোধি চিঠিতে মমতাকে সায় দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
তবে তৃণমূল বিরোধি দলগুলো কিন্তু ২০০৫ সাল এবং ২০১৯ সালের মমতাকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করছে বারংবার। সে ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এমনকি রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ভিডিও সম্প্রতি পোস্ট করে জুড়ে দিয়েছেন শাণিত বার্তা।
প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমতার আসন রক্ষার জন্যে মমতার নোংরা রাজনীতি আর কদ্দিন?
এদিকে বনগাঁ থেকে বাংলা দখলের বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। জানিয়ে দিলেন আগামি ২১-এর নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসনে জয়ী হবে। অন্যদিকে তৃণমূল মাত্র লাভ করবে ৫০টি।