চলে যাচ্ছেন একে একে নক্ষত্রেরা। সাহিত্যিক দেবেশ রায় আর নেই।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের বাগুইআটির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ভার্টিগোজনিত সমস্যার কারণে শারীরিক ভারসাম্যের অভাবেও ভুগছিলেন একইসাথে। বুধবার ডিহাইড্রেশনজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
ওপার বাংলাতেও রয়েছে প্রখ্যাত সাহিত্যিক দেবেশ রায়ের অসংখ্য অনুরাগী। কথাসাহিত্যে তার বয়ান আলাদা করে চিত্রিত করেছে তাঁকেঁকে
বাংলাদেশে দেবেশ অনুরাগীদের মধ্যে শোকের ছায়া পড়েছে! মর্মাহত পাঠকমহল।
সাহিত্যিক দেবেশ রায় বেড়ে উঠেছেন ভারতের উত্তরবঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাজনীতির সূত্রেই পুরো উত্তরবঙ্গ চষে বেড়ান। শিখে ফেলেছিলেন দুর্দান্তভাবে রাজবংশী ভাষা। কলকাতায় থাকাকালীন সক্রিয় ভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করায় শ্রমিক সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এসবের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করতেন। ১৯৭৯ সাল থেকে এক দশক পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তার প্রথম উপন্যাস ‘যযাতি’। ‘আহ্নিক গতি ও মাঝখানের দরজা’, ‘দুপুর’, ‘পা’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘পশ্চাৎভূমি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ও ‘উদ্বাস্তু’— এই আটটি গল্প নিয়ে তাঁর প্রথম গল্পের সংকলন বেরিয়েছিল। ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস।
এই উপন্যাসের জন্যেই ১৯৯০ সালে তিনি সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।