বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ শত সমালোচনা সত্ত্বেও কিছুতেই দমে যান না। বরং আরো সুর চড়িয়ে কথা বলেন ঘাসফুল দলের বিরুদ্ধে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব মেদিনীপুর ভ্রমণের পরই সোমবার মেচেদা সফর করেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
এবার আরো কড়া সুরে তৃণমুলকে ঝাঁঝরা করে দিলেন।
দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করে দিলীপবাবু বলেন, “পুলিশ হোক টিএমসি হোক মারবেন ফেলে দেবেন দায়িত্ব আমার।” তিনি আরও বলেন, “ওদের চামড়া মোটা হয়ে গেছে। সব তেল খুলে নেব। সব ঘি ঝরে যাবে। চামড়া পাতলা করে দেব।”
এনআইএক্স মিডিয়া কেলেংকারিতে যুক্ত দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। সোচ্চার হয়ে ক্ষুব্ধ স্বরে এদিন বলেন, “অনেক লোককে শিক্ষা দিয়েছি সারা দেশে। আরে তোমার বাপের বাপ চিদম্বরম যদি জেলের ভাত খায়, তুমি ব্যাটা কে? লোকের টাকা ঝেড়ে সম্পত্তি করেছে, এখন মাটিতে বিছানা পেতে শুচ্ছে।”
প্রসঙ্গত বলা বাহুল্য যে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করেছিলেন, ঠিক জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়া যেমন করেন!
চিদম্বরম গ্রেফতারি কাণ্ডে মমতা গেরুয়া দলকে খোঁচা দিয়ে লিখে ফেলেন ‘ঠিকানা’ শীর্ষক কবিতা। মুখ্যমন্ত্রীর মতে দেশে গণতন্ত্র বলতে আর কিছুই নেই। গণতন্ত্র আজ চোখের জল ফেলছে। এদিকে মুকুল রায়ও কিন্তু একইঞ্চিও জমি ছেড়ে কথা বলেন না মমতাকে।
স্পষ্টভাষায় মমতাকে জানিয়ে দিলেন, ভণ্ডামি করে চেয়ার বাঁচাতে পারবেন না তিনি। কারণ পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে ‘দিদি’ নিজের হাতে খুন করেছেন। এখন ন্যাকা সেজে মুদির দোকানে চা বানিয়ে আর জনসংযোগ বাড়িয়ে কোন লাভ হবে না।