রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হল আরেক দুষ্কৃতী। নিহত দুষ্কৃতীর নাম বিশ্বজিৎ সর্দার ওরফে বাবুসোনা। বয়স ৪২ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার মালিপাড়া এলাকায়।
বৃহস্পতিবার রাতে যখন বাড়িতে ফিরছিল বাবুসোনা তখনই তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাকে। তাঁর বুকে একাধিক গুলির ক্ষত রয়েছে। বাবুসোনা কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল।
আগে শেখ বিনোদের দলে ছিল বাবুসোনা। শেখ বিনোদের ডানহাত। নিহত যুবকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ২২টি অভিযোগ রয়েছে। খুন, ধর্ষণ-তোলাবাজি, অস্ত্র সরবরাহ, অপহরণ, সবই অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবুসোনার বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি মামলা আছে বাঁশদ্রোণী থানায়। এই ঘটনায় বাবুসোনার সঙ্গী রাজাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গতকাল ঘটনার পরেই ওই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
এলাকার মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাজার থেকে যখন বাড়ি ফিরছিল বাবুসোনা তখনই তিনজনের দুষ্কৃতী দল তাকে আক্রমণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে রাত এগারোটা নাগাদ।
বছর দুয়েক আগে কামালগাজি ব্রিজের কাছে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাবুসোনা ছেলের। এরপর বাবুসোনা পুলিশের উপরে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে জখম হন।
বাবুসোনা খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানা ও কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কারণ বাঁশদ্রোনী, টালিগঞ্জ, হরিদেবপুর, সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর এই সমস্ত এলাকাতেই মূলত দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালাত বাবুসোনা ও তার দলবল। ইতিমধ্যেই গড়িয়ার কাছে একটি ভেড়া বানানোর চেষ্টা করছিল বাবুসোনা। কারণ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে এলাকার তোলাবাজির পয়সা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বাবুসোনার সঙ্গে শেখ বিনোদের ঝামেলা চলছিল।