পৃথিবীতে যে কোন বিপর্যয় মানুষকে শিক্ষা দিয়ে যায় ঠিকই কিন্তু সে বেদনা আমৃত্যু বহন করতে হয়।
বিশ্বের মানুষ খাবারের অভাবে চোখের জল মুচছে। অন্যদিকে কোন কোন সাংসদ মুখে এন-৯৫ মাস্ক লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন। এই দৃশ্য অত্যন্ত দৃষ্টিকটু।
নাম না করে কিছু সাংসদের এমন অমানবিক আচরণে ক্ষোভে- দুঃখে ফেটে পড়েছেন বাংলার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
সার্স করোনা বিশ্বের মানুষের জীবন ওলটপালট করে ছাড়ছে। ভারতেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ২১ দিনের পূর্ণ লক ডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সামান্য কিছু বাজারের জন্যে সবজি, চালের দোকান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শ্রীলেখা বলছেন, “জীবনে প্রথন দু’মুঠো চালের গুরুত্ব বুঝতে পারছি। আমি নিজেকে সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি। তাই এখন রসালো রান্নাবান্নার ছবি দেখতে ভালো লাগছে না। সবাই খেতে ভালোবাসি আমরা। আমি ম্যাগি খেয়ে থাকছি। রোজ দু’বেলা ২০-২৩টা কুকুরকে খাওয়াচ্ছি। চালে টান ধরছে। আমার ভয় লাগছে যে আর কটা দিন পরে আমি আমার কুকুর ছানাগুলোকে পর্যন্ত খাওয়াতে পারব কি না।
কাঁদতে কাঁদতে শ্রীলেখা বলেন, কুকুরগুলোকে খাওয়াব বলেই আমি দু’বেলা খাচ্ছি। ব্রেকফাস্ট করছি না। মনে মনে ভাবছি ডায়েট হচ্ছে। ১৪ বছর ধরে যে মাসি রয়েছেন আমি তাকে বাজারে পাঠাতে পারব না। খাওয়াটা বেসিক। সেটাই অনেকে পান না। আর এই সময়ে মুখে মেকআপ করে ছবি, ওয়ার্কআউটের ছবি, আবার মুখে মাস্ক লাগিয়ে রয়েছি এসব ছবি দিচ্ছেন। আমাদের এক সাংসদ মুখে মাস্ক লাগিয়ে ছবি দিচ্ছেন। কিন্তু যাদের খাওয়ার জুটছে না তাদের কাছে একজন সাংসদ ও জননেতার থেকে এমন আচরণ চোখে লাগছে।”
দেশের দুর্দিনে দেশের পাশে দাঁড়ানো সকলের কর্তব্য। এ অবস্থায় সাংসদ, বিধায়কের এমন কার্য প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।
এ মুহূর্তে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২৪।