দু-ঘন্টা আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইট করে তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একটি ভিডিও এবং ধনকড়ের বার্তা ঘুরছে চারদিকে।
সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যাওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, গড়িয়ার শ্মশানে মোট ১৩টি পচাগলা লাশ দাহ করতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কার মৃতদেহ, কোথাকার মৃতদেহ! না কোন জানানো নেই। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের সন্দেহ অনুযায়ী, এই মৃতদেহগুলো করোনা রোগির। লুকিয়ে এখানে জ্বালিয়ে দেয়ার জন্যে নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকার মানুষের প্রতিবাদের মুখে আটকে পুরসভা কর্মীরা ফের মৃতদেহগুলো ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানাচ্ছেন, দেহগুলো মোটেও করোনা আক্রান্তদের নয়! তাঁর যুক্তি, সেই মৃত দেহগুলো কেউ শনাক্ত না করার জন্যে দাহ করার জন্যে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ সন্দর্ভে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছেন। “ঘটনায় রহস্য রয়েছে। একসঙ্গে ১৩টা লাশ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু কী কারণে? কোভিড আক্রান্ত দেহ এগুলো, তাই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল চুপচাপ! রাজ্যে করোনাক্রান্তের সংখ্যাকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং তা ধরাও পড়েছিল এর আগে। দিলীপবাবু সরকারের দিকে আঙুল তুলে বলছেন, কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃতদের সংখ্যা লুকিয়ে রাখার জন্যে এই ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। এই নিরীহ মানুষগুলো শুধুমাত্র সরকারের অপদার্থতার জন্যে মারা গেলেন, তাঁদের দেহ সম্মানের সাথে সতকারের দায়িত্বটাও পালন করছে না মমতা সরকার”
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শীঘ্রই জগদীপ ধনকড় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন।
Anguished ! Share public outrage and deep concern at most unconscionable heart rendering callous dragging of dead bodies reflected in videos. Shocked at state of affairs @MamataOfficial
Have sought urgent briefing today from KMC Chairperson and Municipal Commissioner. (1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 12, 2020