করোনায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপ ছিলই এবং তা আরো দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে।
ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিক আসার পর রাজ্যে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়েছে। একইভাবে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও গত কয়েক দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের কোনভাবেই দোষ নেই। কারণ কোভিড-১৯ এর এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে দুঃস্থ-খেটে খাওয়া এই মানুষগুলো ভিনরাজ্যে যথেষ্ট কষ্টে দিন যাপন করছিলেন।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে লকডাউনের জন্যে আটকে থাকা হিন্দু শ্রমিক পরিবারগুলো অনুরোধ জানাচ্ছিল তাঁদের যেন গৃহরাজ্যে ফিরিয়ে নেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতেও তৃণমূল সুপ্রিমো যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যবাসীর কথা চিন্তা না করে সে অভিযোগ বারবারই উঠছে।
উল্লেখযোগ্য যে, বিগত সপ্তাহে রাজ্য সরকার কনটেইনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করেছিল। এফেক্টেড জোন(এ), বাফার জোন(বি) এবং ক্লিন জোন (সি)। রাজ্যের হিসেব অনুযায়ী, এ এবং বি জোন মিলিয়ে রাজ্যে মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা হয়েছে ১০৭৬। এ মুহূর্তে নবান্ন সূত্রে খবর, গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা হয়েছে ৭১৮। অন্যদিকে বাফার জোনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৮।
এর মধ্যে সবচাইতে বেশি এফেক্টেড কলকাতা। সেখানে মোট ২৮৬টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে।