পশ্চিমবঙ্গের কথা এলেই এখন প্রথমেই দুর্নীতির ছয়লাপের কথা আসে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়র ফ্ল্যাট থেকে এত কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় হৈচৈ পড়েছে চারদিকে। জুতোর বারিও খেয়েছেন পার্থ। একজন মহিলার জমে থাকা হাজার ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে। অবশ্য সেসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই চিরঞ্জিতের। তিনি ভিন্নপন্থার, ভিন্ন কথা বলছেন।
পার্থর সাথে যা ঘটছে তা কাঙ্ক্ষিত নয়। এমনটাই মত প্রাক্তন সতীর্থ বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর।পার্থকে ঘিরে যখন কেউ জুতো ছোড়েন কিংবা তাঁর গাড়ি উদ্দেশ্য করে ‘চোর’, ‘চোর’ বলে চিৎকার করেন, সেটা দেখতে বা শুনতে কষ্ট হচ্ছে, জানান চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, এখনও কিছু প্রমাণ হয়নি। তার আগে এ ধরনের ঘটনা ভাবায় তাঁকে।
চিরঞ্জিত বলেন, “এটা একদম উচিৎ না। অত্যন্ত কষ্ট দেয়। হতে পারে না এটা। এখনও কিছু প্রমাণিত হয়নি। আমাকে যদি কালকে কোনও কারণে ধরে নিয়ে যায়, আমি তো জানি আমি কী করেছি না করেছি। ফলে সেক্ষেত্রে এরকম কিছু করাটা অন্যায় হবে।” যদিও বারাসতের বিধায়কের সংযোজন, “আবার এটাও বলব, মানুষ যেটা পড়ে, ভাবে সেটাই সত্যি। সেই জন্য হয়ত কিছুটা করে। সেটাও একটা ব্যাপার অবশ্যই।” পাশাপাশি অবশ্য চাকরি প্রার্থীদের জন্যও তিনি ব্যথিত বলে জানান।
রবিবার মধ্যমগ্রামে জেলা কার্যলয়ে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসে এমনটাই জানালেন বারাসতের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে যা ঘটেছে, একজন সতীর্থ হিসাবে বিষয়টি কষ্টের।চিরঞ্জিত (Chiranjeet Chakraborty) বলেন, “এখনও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। একইসঙ্গে বিধায়কের সংযোজন, আমাকে যদি কেউ ধরে নিয়ে যায়, তাহলে আমি তো জানি আমি কি করেছি না করেছি!”
চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা উচিত নয়।অনেক কথাই বলেন।
Chiranjeet Chakraborty বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়টি বিচারাধীন। রেজাল্ট বেরোলেই সরকার যা করণীয় তা করবে।”