ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তোপ দেগে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনার শীঘ্রই এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এটা আরেকটা খাগড়াগড়। এখানে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল না। সব বোমা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জেহাদিদের মদত দিচ্ছেন। আর বোমার কারখানা বানাচ্ছেন। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত।”
বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ফের কেঁপে উঠল পশ্চিমবঙ্গের নৈহাটি।
নৈহাটির রামঘাটে গঙ্গার পাড়ে গত তিন-চার দিন ধরেই বাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রচণ্ড শব্দ করে বাজিতে বিস্ফোরণ ঘটে যায়।
ভয়ানক শব্দে উদভ্রান্ত হয়ে পড়েন লোকজন। এদিক-ওদিক শুরু হয় ছোটাছুটি।
উল্লেখযোগ্য যে, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার স্থান থেকে মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যে বৈষ্ণবপাড়ার বিদ্যাভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ৭০০ বাচ্চাদের নিয়ে ক্লাস চলছিল। সৌভাগ্য যে সে সময় পড়ুয়ারা মিড-ডে মিলের জন্যে বাইরে অবস্থান করছিল।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ, “কোনও নোটিস ছাড়াই গত চারদিন ধরে বিস্ফোরক দ্রব্য নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছিল পুলিশ। আমাদের নোটিস দেয়া হলে স্কুল ছুটি দিয়ে দিতাম।”
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নৈহাটির সাইরাজ এলাকা, গঙ্গার অন্য পাড়ে চুঁচুড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় বলে খবর।
পুলিশের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় রীতিমতো বিক্ষুব্ধ মানুষ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “নৈহাটি পুরসভা পর্যন্ত প্রতিটি পাড়ার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এখানে কি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল, পুলিস তা কাউকে জানায়নি। সবটাই আড়ালে হচ্ছিল। গত চারদিন ধরে গঙ্গার পাড়ে কাউকে পুলিস যেতে দিচ্ছিল না।”