মহাকাশ থেকে পৃথিবী কেমন দেখতে? এ নিয়ে কৌতুহলের অন্ত নেই। বাঙালি বৈজ্ঞানিকের শত প্রচেষ্টায় আজ সারা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করল, মহাকাশ থেকে পৃথিবী দেখতে এমন।
৩ আগস্ট, শনিবার চন্দ্রযান ২ পৌঁছেছে পৃথিবীর চতুর্থ কক্ষপথে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ চারটি ছবি তুলেছে চন্দ্রযান-২। আজ রবিবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সে অমূল্য ছবি প্রকাশ করল।
বিশ্বের সামনে উন্মুক্ত হল আরো এক জগৎ।
ইসরো সূত্রে খবর, নীলাভ সবুজ গোলাকার পৃথিবীর যে অংশটুকু দেখা যাচ্ছে, তার ডানদিকটা আটলান্টিক মহাসাগর, বাঁ দিকে প্রশান্ত মহাসাগর৷ দুই সমুদ্রের মাঝবরাবর উত্তর আমেরিকার জঙ্গলঘেরা অংশ৷ তাই তার রংটা সবুজঘেঁষা৷
আগামি ৬ আগস্ট পৃথিবীর পঞ্চম কক্ষপথে পৌঁছবে চন্দ্রযান-২।এরপরই সোজা লাফিয়ে পড়বে চাঁদের কক্ষপথে৷ সেই কক্ষপথ ঘুরে একমাস পর অর্থাৎ আগামি ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান-২৷
প্রসঙ্গত, বাঙালি ছেলে চন্দ্রকান্তের নেতৃত্বে বিগত ২২ জুলাই ভারতীয় সময় ২.৪৩ মিনিটে উড়ান দেয় চন্দ্রযান-২ । ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানকে নিয়ে উড়ে গেল ‘বাহুবলি’ । বলিউডের বাহুবলি নয়, ইসরোর এই রকেটে চেপেই চাঁদের অন্ধকার দিকের রহস্য উন্মোচনের জন্যে রওয়ানা দিল চন্দ্রযান-২ । ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই করল ভারত । চন্দ্রযান-১ এর সফল অভিযানের পর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্রথম চেষ্টার বলে মঙ্গল কক্ষে যান পাঠিয়েছে ভারত ।
বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্তঃ
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাসিন্দা বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমার এক গরিব চাষীর ছেলে।চন্দ্রকান্ত উপগ্রহের গ্রাউন্ড স্টেশনের অ্যান্টেনা সিস্টেম ডিজাইন করেছেন । তাছাড়া আরএফ সিস্টেমের সম্পূর্ণটাই তৈরির দায়িত্বে ছিলেন তিনি ।এছাড়া, চন্দ্রযান-১ এর অ্যান্টেনা সিস্টেমও তিনিই ডিজাইন করেছিলেন ।