সুপার সাইক্লোন আমফানে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরেজমিনে পর্যালোচনা করার জন্যে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় দল উপস্থিত হচ্ছে রাজ্যে।
বারবার অভিযোগ উঠছে সরকারের সাহায্য দেয়া টাকা বিপর্যস্ত মানুষগুলোর হাত পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না। মানুষেরা দাবি করছেন আর্থিক সাহায্য যেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি দেয়া হয়।
ঘূর্ণঝড় আমফান ঘটে যাওয়ার পরই শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আকাশপথে ঘুরে দেখেন আমফান বিধ্বস্ত বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এর পরই রাজ্যকে প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১,০০০ কোটি টাকা ঘোষণা করেন তিনি।
কিন্তু আমফানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্বচক্ষে দেখা দরকার। তাই পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর ঘোষণা করল অমিত শাহর মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব সত্বর মন্ত্রকের একটি দল আমফানের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে পশ্চিমবঙ্গে যাবে। এখন এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের কী প্রতিক্রিয়া সেটাই দেখার।
উল্লেখযোগ্য যে সুন্দরবনের প্রান্তীয় অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে উঠেছে। আয়লা-বুলবুলের স্মৃতি এখনো দ্গদগে তাঁদের মাঝে। এরপর মাথার উপর যেটুকু চাল ছিল উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব প্রতিশ্রুতি এখন তাঁদের কাছে শুধুই রূপকথা বলে মনে হয়।