হাতে রয়েছে প্রায় ২০ মাস। তার আগেই লোকসভা নির্বাচনের ঘায়ে মলম লাগিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নির্বাচনের ক্যাম্পেনিং করছে না। প্রকারান্তরে দেখিয়ে দিচ্ছে মানুষের পাশে তৃণমূল আছে চিরকাল। জনগণকে দিচ্ছে একটি প্ল্যাটফর্ম। তাঁদের অভিযোগ খোলাভাষায় ব্যক্ত করার।
হয়তো দল উপলব্ধি করতে পেরেছে জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে না পারলে এমনিতেও গ্যাঁড়াকলে রয়েছে, আরো পড়তে হবে।
তাই আজ নজরুল মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি কিভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে তাঁদের অভাব, অভিযোগের কথা শোনা যায়, সে ব্যবস্থা করলেন আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে।
একটি বিশেষ সাহায্য নম্বর এবং ওয়েবসাইট প্রকাশ করলেন। যার মাধ্যমে মানুষ তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এদিন মমতা বললেন, ‘আপনার মতামত বা সমস্যা থাকলে আমাকে ফোন করুন’ ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে। অথবা www.didikebolo.com-এ লিখে জানান আপনার মতামত, অভিযোগ’।
মুখ্যমন্ত্রীর এবারের পদ্ধতি ভিন্ন। মাটির মানুষের ঘরে ঢুকে মাটির গন্ধ নিয়ে প্রচার করতে চলেছে, ‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক’।
তিনি বলেন, আগামি ১০০ দিনে দলের ১ হাজারের বেশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ১০ হাজারের বেশি গ্রাম পরিদর্শন করবেন। ঘুরে দেখবেন গ্রামের পরিস্থিতি। স্থানীয় মানুষদের থেকে শুনবেন তাঁদের অভাব, অভিযোগ। শুধু পরিদর্শনেই যাবেন তা নয়, ওই জনপ্রতিনিধিকে এই গ্রামের তৃণমূলের সদস্য ও বুথ কর্মীদের সঙ্গে করতে হবে বৈঠক। সব শেষে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোনও এক বুথকর্মীর বাড়িতে ভোজন সেরে করতে হবে রাত্রি বাস’।
এর আগে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনতে ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল ‘মা মাটি মানুষ’ স্লোগান। এমনকি এ নামে একটি বইও রয়েছে মমতার। এবার আর মুখের স্লোগান বা কলম নয়। সরাসরি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকেই কাজে লাগিয়ে ‘দিদিকে বলো’ চালু করলেন।
এবারে গ্রামের সমস্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত গরিব মানুষগুলো ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে আদৌ দিদিকে নিজেদের দাবি জানাতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।