কলকাতার বুকে আতসবাজি প্রাণ নিল দুজনের। মৃত দুজনের নাম আদি দাস (৫) এবং দীপকুমার কোলে (৪০)।
কালিপুজোর আলোয় শহরটিকে দেখতে বেরিয়েছিল ঠাকুরমার আঙুল ধরে রবিবার, ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বেরিয়েছিল।
হাঁটতে হাঁটতে হঠাত করে একটি তুবড়ি ফেটে খোল ছিটকে এসে লাগে তার গলায়। সঙ্গে সঙ্গে ঢলে পড়ে সে। নিয়ে যাওয়া হল বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
একইরকমভাবে কসবা উত্তরপাড়ায় দীপকুমার নিজেই তুবড়ি জ্বালাচ্ছিলেন। সে সময় হঠাৎই তুবড়ি ফেটে খোলের একাংশ বিঁধে যায় তাঁর গলায়। শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, পুলিশ আধিকারিকেরা আদির মৃত্যুর সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করেছেন ঘটনাস্থল থেকে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কে বা কারা ঐ তুবড়ি ফাটাচ্ছিল, স্থানীয় লোকেরা সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। বস্তুত, শীলপাড়ায় এত বাজি পোড়ানো হচ্ছিল যে, ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ওই অঞ্চলের বহু এলাকা।
তুবড়ি ফেটে দু’জনের মৃত্যুর খবরে রাতেই পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
তুবড়ি নিষিদ্ধ বাজি নয়, কিন্তু এগুলো তৈরিতে গাফিলতি রয়েছে কি না, অথবা কোথা থেকে এগুলো আসছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।