মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় একের পর এক বিতর্ক বাড়িয়ে চলেছেন ! পুলওয়ামার ভয়াবহ জঙ্গি হানা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এর আগে । এবার করলেন আরো এক কুরুচিকর মন্তব্য !
চাপে পড়ে যে মুহূর্তে পিছনে সরে গেল কেন্দ্র, ঠিক সে মুহূর্তে শিক্ষার ক্ষেত্রে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার প্রশ্নে আগুনে ঘি ঢাললেন তথাগত রায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তথাগত বাবুর সরাসরি ভাব প্রকাশঃ ‘বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ কিংবা নেতাজির সঙ্গে হিন্দি শেখার কোনও বিরোধ নেই। বাঙালি ছেলেরা হরিয়ানা থেকে কেরল-সর্বত্র ঘর ঝাঁট দেয়। বাঙালি মেয়েরা মুম্বইতে বার-ডান্স করে, যা আগে অকল্পনীয় ছিল।’
সঙ্গে হিন্দি শেখার কি বিরোধ তা আমার বোধগম্য হল না | দ্বিতীয়ত, হায়, এঁদের কে বোঝাবে এই মনীষীদের কাল বহুদিন গত, তারপর বাংলার বৃহদংশও গত, এখন বাঙালি ছেলেরা হরিয়ানা থেকে কেরালা পর্যন্ত সব জায়গায় ঘর ঝাঁট দেয়, বাঙালি মেয়েরা মুম্বাইতে বার-ডান্স করে, যা আগে অকল্পনীয় ছিল |
— Tathagata Roy (@tathagata2) June 4, 2019
অর্থাৎ তাঁর বক্তব্যে সরাসরি একটা কথা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, যে বাঙালি মেয়েরা মুম্বই শহরে গিয়ে বার ডান্স করে, যা পূর্বে কখনো আশা করা যায়নি, সে স্থানে তাঁদের হিন্দি শিখতে আপত্তি কেন ?
,সম্প্রতি, কেন্দ্রের নতুন শিক্ষা নীতির খসড়া পেশ করেন ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির চেয়ারম্যান ডঃ কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন । খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৬৮ সাল থেকেই বহু স্কুলে ‘থ্রি ল্যাঙ্গুয়েজ ফরমুলা’ চলে আসছে। তা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে স্থানীয় ভাষা, ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি শিখতেই হবে ।
অপরদিকে হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোতে হিন্দি ও ইংরেজির সঙ্গে অন্য একটি ভারতীয় ভাষাও পড়াতে হবে । কেন্দ্রের এই নতুন খসড়া নিয়ে ক্ষোভে উপচে পড়ে তামিলনাডু-দক্ষিণ ভারতের রাজ্যসহ এ রাজ্যের সরকার ।
শেষ পর্যন্ত শিক্ষানীতির খসড়া থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব।
ভাষা নিয়ে যখন রাজ্যে এমন তুলকালাম পরিস্থিতি, ঠিক সে সময় বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়।
‘যাঁরা ঠিক করেছে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এক পাও ফেলবেন না, তাঁরা ছাড়া বাকিদের বাস্তবটা মেনে নিতে হলে হিন্দি শিখতে হবে। না হলে পস্তাতে হবে’।