আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নটা থাকতে হয়! এবং শুরু করতে হয় সেই শুন্য থেকেই। আস্তে আস্তে গিয়ে সে সংখ্যা ছুঁয়ে আকাশ!
অন্যদিকে বাঙালির মনের জোরের কথা না বললেও চলবে। সে যা করে অন্তর থেকে করে, যা করে না তা করে না।
এবার রানাঘাটের মেয়ে রুম্পা জয় করতে চলেছেন এভারেস্ট।
বহু স্বপ্ন চোখে পুষে রেখেছিলেন মেয়েবেলা থেকে। সময়-সুযোগ এলেই বেরিয়ে পড়তেন ট্র্যাকিংয়ে।
কৃষ্ণনগরে পর্বতারোহীদের সংস্থা ‘মাউন্টেনারিং অ্যাসোসিয়েশন অব কৃষ্ণনগর’ (ম্যাক)- শুরু করে দিলেন প্রশিক্ষণ।
৫ বছরে তিনি জয় করেছেন ৭টি পর্বত শৃঙ্গ।
এবারে রুম্পা দাসের পাখির চোখ এভারেস্ট।
অসামরিক ক্ষেত্রে প্রথম বাঙালি র কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এভারেস্টে যাওয়ার সমস্ত হাড়ভাঙা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন পরিশ্রমী মেয়েটি।
তিনি পশ্চিমবঙ্গ রানাঘাটের নাশরা কলোনির বাসিন্দা।
প্রায় ২৪ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন এভারেস্টে যাওয়ার জন্যে। বিভিন্ন স্থান থেকে ধার-কর্য করে, ঋণ করে, সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনি এভারেস্টের দিকে।
এভারেস্টজয়ী বসন্ত সিংহ রায় রুম্পার সম্বন্ধে যথেষ্ট দৃঢ়বিশ্বাসী। তিনি জানাচ্ছেন, “এর আগে অসামরিক ক্ষেত্রে বাঙালি মহিলা অভিযাত্রী হিসাবে ছন্দা গায়েন ও টুসি দাস এভারেস্ট জয় করেছে। রুম্পা জয় করলে হবে তৃতীয়। আমার স্থির বিশ্বাস, ও সেটা পারবে।”
আগামি ৭ এপ্রিল কুপার্স কলোনি হাইস্কুলের ৩৮ বছরে ইংরেজির শিক্ষিকা রুম্পা দাস এভারেস্টের উদ্দেশে পাড়ি জমাবেন।
উল্লেখযোগ্য যে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এ বারের এভারেস্ট অভিযাত্রী দলে তিনিই এক মাত্র মহিলা।