বহু পরিমাণে চিনা মাঞ্জা উদ্ধার করা হয়েছে কলকাতা থেকে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও টানা ব্যবসা চালানো হচ্ছে চিনা মাঞ্জার।
এক গোপন সূত্রে খবর লাভ করে বড়বাজার থানার পুলিশের তৎপরতায় সেখানকার একটি দোকানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে হাজারোধিক চিনা মাঞ্জাসুতোর রোল।
ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর পূর্বে এমন বিপুল পরিমাণে চিনা মাঞ্জা উদ্ধার হয়নি। একেই সর্ববৃহৎ মনে করা হচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ বড়বাজারের এই দোকানটিতে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শহরের বিভিন্ন দোকানে পাচারের জন্যে মজুত করে রাখা হতো মাঞ্জাগুলো।
এই মাঞ্জা যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে বারংবার সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। চিনা মাঞ্জা দিয়ে যেন কেউ ঘুড়ি না ওড়ায়!
কারণ নাইলনের সুতোর উপরে সিন্থেটিক আঠা দিয়ে ধাতু ও কাঁচের গুঁড়ো মাখিয়ে তৈরি হয় চিনা মাঞ্জা। ব্লেডের মতো ধারালো এই মাঞ্জা সুতোর সামান্য ঘষাতেই ফালাফালা হয়ে যেতে পারে চামড়া। গলায় লাগলে প্রাণহানির সম্ভাবনাও রয়েছে। এই ধরনের মাঞ্জা সুতোকে ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক জাতীয় পরিবেশ আদালত। এর বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এত সতর্কতার পরও কিছু অমানবিক, সমাজ ধ্বংসকারি ব্যবসায়ীরা স্রেফ মুনাফার লোভে চিটিংবাজি করে যাচ্ছে।