সকাল থেকে কালো মেঘের ঘনঘটা কলকাতার আকাশে। শুনশান রাস্তাঘাট। করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন যা করতে পারছিল না আমফানের আগমণ তা করে দেখিয়েছে।
ওষুধের দোকানেরও ঝাঁপ নামানো হয়েছে। বাইরে জনমানব দেখলেই ঘরে পাঠানো হচ্ছে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতার বেশকিছু উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বেলা গড়াতেই বেড়েছে বৃষ্টিও। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কলকাতা ঘেঁষে যাবে আমফান। গতি থাকবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। যার জেরে তিলোত্তমা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু সেই বিপর্যয় থেকে কলকাতাকে বাঁচাতে কোমর বেঁধে তৈরি কলকাতা পুলিশও। চলছে টহলদারি, মাইকে সতর্কবার্তা দেয়া হচ্ছে।
একদিকে করোনা বিপর্যয় অন্যদিকে আমফান! বিপর্যস্ত রাজ্যবাসী।
ফুটপাতে থাকা লোকজনকেও এ মুহূর্তে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিকটবর্তী স্কুল ও কমিউনিটি হলে।
কঠোর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যে তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাঁদের দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক দল রয়েছে গঙ্গার পাশে। ঝড়ের প্রভাবে গঙ্গায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যাতে কেউ গঙ্গায় না নামে তার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। আরেকদল রাস্তায় গাছ পড়লে. বা ল্যাম্পপোস্ট পড়লে তা সরাতে তৈরি রাখা হয়েছে। তাঁদের কাছে রয়েছে বৈদ্যুতিক ও চেন করাত। পরিশেষে বলা যায়, কলকাতায় আমফানের মোকাবিলা করতে তৈরি পুলিশবাহিনী।
এ মুহূর্তে আরো এক খবর, ল্যান্ডফলের কয়েক ঘন্টা আগেই তাণ্ডব শুরু করে দিল আমফানের টেইল। নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা যাওয়ার রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছ। বিচ্ছিন্ন হয়েছে অল্ড-নিউ দিঘার সরক যোগাযোগ।