করোনা ভাইরাসের জেরে বাংলাদেশে সবই বন্ধ। পয়লা বৈশাখ আয়োজন হয়নি, এ বার হল না অক্ষয় তৃতীয়া। শেষ কবে যে এমন অক্ষয় তৃতীয়া কেটেছিল বাঙালির তা মনে পড়বে না। বছরের শুরুটাও যেমন ভালো যায়নি। তেমনই একই অবস্থা হল অক্ষয় তৃতীয়ার। ফলে পয়লা বৈশাখের মতো অক্ষয় তৃতীয়ার এই দিনেও হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা বাড়িতেই সেরেছেন পুজো। তবে কিছু লোক স্বামীবাগ আশ্রমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো করেছেন।
জানা গেছে, অক্ষয় তৃতীয়া হল বৈশাখ মাসের শুক্লাতৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এইদিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এইদিনই আবির্ভূত হয়েছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। আজকের দিনেই নাকি মহাভারত রচনার কাজ শুরু করেছিলেন বেদব্যাস ও গণেশ। হিন্দু পুরান মতে এইদিনই সত্য যুগ শেষ হয়ে ক্রেতাযুগের সূচনা হয়। ব
লা হয় অক্ষয় তৃতীয়াতেই নাকি রাজা ভগীরথ দেবী গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন। এদিনই নাকি কুবেরের লক্ষ্মীলাভ হয়েছিল। তাই এদিনে ধন-লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। এদিন দান-ধ্যান করলে বা পূজা-অর্চনা করলে দীর্ঘসময় তার ফল ভোগ করা যায়। যে কোনও শুভ কাজ এইদিন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তার জন্য কোনও জ্যোতিষের পরামর্শ নেওয়ার দরকার নেই। যে কোনও ব্যক্তি এদিন মন থেকে ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা করলে তাঁর ‘অক্ষয়’ জ্ঞান প্রাপ্তি হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় রত্ন বা জিনিসপত্র কিনলে গৃহে শুভ যোগ হবে। সুখ-শান্তি ও সম্পদ বৃদ্ধি হবে।