ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে ভুগছে বৌবাজার এলাকার মানুষজন। ধ্বসে পড়ছে এক এক করে বাড়িঘর।
বউবাজারে মেট্রোর সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যে বাড়িগুলি আর মেরামত করা যাবে না সেগুলো ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গেছে। সোমবার সকাল ১১ টা থেকে কেএমআরসিএল শুরু করেছে কাজ।
কিন্তু ভাঙার আগেই ভেঙে পড়ল ৯.৫০ মিনিট নাগাদ বৌবাজারের স্যাকরাপাড়া লেনে ৮বি নম্বর সেন বাড়িটি। বাসিন্দারা বেঁচে গেছেন, কারণ ঘটনার মুহূর্তে তাঁরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। চোখের সামনে এভাবে আস্ত বাড়িটি ধ্বসে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন।
নির্মাণকারী সংস্থা কেএমআরসিএল ইতিমধ্যে বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা ৫ টি বাড়িকে চিহ্ণিত করেছে। সেগুলো শীঘ্র ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কারণ ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িগুলোকে ভেঙে না ফেললে ওই এলাকায় অন্য বাড়িগুলো বাঁচানোর কোনও ব্যবস্থাই করা যাবে না।
বাড়ির মালিকরা সংস্থার কর্তাদের লিখিত অনুমতি দিয়েছেন বাড়ি ভাঙার জন্যে। অনুমতি পেয়েই ভাঙন কার্য শুরু করা হয়েছে সকালে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) অজয়কুমার নন্দী ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক বিশ্বনাথ দেওয়ানজি জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে ১১ মাসের চুক্তিতে এই পরিবারের বাড়িভাড়ার ব্যবস্থা করবেন। শুধু তাই নয়, ওঁদের যেসমস্ত জিনিসপত্র বাড়ি থেকে নিজেরা নিয়ে যেতে পারবেন না, সেগুলো গুদামে রেখে দেওয়া হবে।
কেএমআরসিএল সংস্থা সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, এমন আরো তিনটি বাড়িকে চিহ্ণিত করা হয়েছে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙার সিধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যে বাড়িগুলো ভাঙতে হবে, সেগুলো না ভাঙ্গা ছাড়া কোন উপায় নেই। তবে দুর্গা পিতুরি লেন, স্যাকরাপাড়া লেন এবং গৌর দে লেনের তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত কিছু বাড়ি রয়েছে। সেগুলোতে ‘গ্রাউটিং’এর কাজ শুরু করা হয়েছে।
বাড়িতে যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা মেরামতির জন্যে সেগুলোর মধ্যে পাইপ ঢুকিয়েসিমেন্ট, বালি এবং এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিকের মিশ্রণ তরল আকারে দেওয়া হচ্ছে।