বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় পরবর্তীতে যেন খোরপোশ দিতে না হয়, তাই স্ত্রী এবং তাঁর বন্ধুকে চিরতরে বিদায় করে দিলেন স্বামী!
পুলিশ সূত্রে সংবাদ, মহিলার স্বামী প্রথমে ভরণ-পোষণ দিতে হবে, এই ভাবনা নিয়ে স্ত্রীকে খুন করে। এবং ঘটনা যেন জানাজানি না হয়ে যায়, পরে স্ত্রীর মেয়ে বন্ধুকেও হত্যা করে নৃশংসভাবে।
বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মেরিগঞ্জের ইটভাটা থেকে কাজ করে শ্রমিকরা ফিরছিলেন। সে সময় তাঁরা এক মহিলাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন।
দেহে প্রাণ নেই বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশে। ঘটনাস্থল থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
আশ্চর্যজনকভাবে মর্মান্তিক এই ঘটনার পরদিনই অর্থাৎ শুক্রবার সকালে মেরিগঞ্জ থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে পিয়ালি নদীর চরে ফের এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কুলতলি থানা এবং বারুইপুর জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারছে ভয়ংকর সব তথ্য। মিজানুর নামক উক্ত হত্যাকারী স্ত্রী মুস্তারি খাতুনকে খুন করার পর তাঁর বান্ধবী আবিদা খাতুনকেও হত্যা করে।
জানা গেছে, কয়েকবছর পূর্বে মুস্তারির সঙ্গে বিয়ে হয় মিজানুরের। চলছিল বিয়ে বিচ্ছেদের মামলা। ২৩ শে জানুয়ারি মুস্তারির শাশুড়ি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। জানা গেছে, মুস্তারির সে সময় একা না গিয়ে তাঁর বন্ধুকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।
একটি গাড়িতে মুস্তারির এবং আবিদাকে পিয়ালি নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে নরপিশাচ মিজানুর।
এবং প্রমাণ লোপাটের জন্যে পরে স্ত্রীর বন্ধুকেও হত্যা করা হয়। কারণ তিনি সেই হত্যার দৃশ্য দেখেফেলেছিলেন।
মর্মান্তিক, জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলার শাশুড়ি এবং খুড়শ্বশুরকে।
নিহতের পরিবার মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।