পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য তথা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে ঘটে যাচ্ছে চরম লজ্জাজনক ঘটনা! চলছে নারীর উপর মধ্যযুগীয় পৈশাচিকতা! এ ঘটনায় অভিষেকের কোন মতামত এখনো অবধি শোনা যায়নি।
দু-দিন পূর্বে ডায়মন্ড হারবারের ঢোলাহাটের পাকুড়তলা এলাকায় পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে ন্যাড়া করে শাস্তি দিল কাপুরুষ স্বামীসহ বেশ কয়েকজন।
নির্যাতিতা গৃহবধূর নাম আজমিরা বিবি।
ঘটনায় স্বামী সমসেল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক নারী নির্যাতন তথা স্বামীর এমন ঘৃণ্য মানসিকতায় কি এটাই প্রমাণ হয় না যে, আমরা যতই বৈজ্ঞানিক যুগে বাস করি না কেন, আসলে আমাদের কুসংস্কার এখনো বাসা বেঁধে আছে মনের গভীরে?
সূত্রে জানা গেছে, সামসলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যাবার পর আজমিরাকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে ৪ বছরের (দ্বিতীয় পক্ষ) ৪ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে।
জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং প্রথম পক্ষের ছেলে মিলে আজমিরার ওপর প্রবল শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। গ্রামে সালিশি সভায় সমসেল একথাও স্বীকার করেছিল যে সে আর এমন কু-কাণ্ড কখনোই করবে না।
কিন্তু শুধু কথায় তো মানুষের চরিত্র পালটায় না। প্রমাণ করে ফের গত বৃহস্পতিবার বাবা-ছেলে ও আরো কয়েকজন মিলে প্রচণ্ড অত্যাচার শুরু করে আজমিরাকে। লোহার রোড দিয়ে বেধড়ক মেরে বেহুশ করে মাথা নেড়া করে ফেলে। কত জঘন্য, কতটা ঘৃণ্য মানসিকতাসম্পন্ন হলে মানুষ এত নীচে নামতে পারে!
স্থানীয়রা আজমিরাকে কোনমতে সেখান থেকে উদ্ধার করে গদামথুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতেই ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আজমিরার পরিবার। সে রাতেই সমসেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে এদিন কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
তবে শেষ সংবাদ অনুযায়ী বাকি অভিযুক্তদের এখনো পাকড়াও করতে সমর্থ হয়নি পুলিশ।