কলকাতার পঞ্চসায়র ঘটনা নতুন নতুন বাঁক নিচ্ছে। পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। যা আশ্চর্য করে দিচ্ছে শহরবাসীকে।
সোমবার রাত দুটোয় নয়, বরং ১০ টার সময় নির্যাতিতা যুবতী নথিভুক্তহীন সেই বৃদ্ধাবাস থেকে বেরিয়েছিলেন।
গণধর্ষণের ঘটনায় একটি নয়, সন্ধান পাওয়া গেছে দুটো গাড়ির।
প্রথম গাড়ি থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই ৩৫ বছরের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মেয়েটিকে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। এরপর সাদা রঙের ভিন্ন একটি ট্যাক্সিতে তাঁকে অপহরণ এবং ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে।
৪০ মিনিট ধরে তাঁর ওপর গণধর্ষণ চালিয়েছে পাষণ্ডরা। পুলিশের আরো সন্দেহ এই ঘটনায় দুজন নয়, বরং বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে।
এছাড়া, আবাসের তালা ভাঙা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হোমের তালাটি পরীক্ষা করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বুঝতে পারেন যে, সেটি ভাঙা হয়নি। গেটের চাবিটি একটি জায়গায় রাখা ছিল। যুবতী সেটা জানতেন। এবং সেখান থেকে চাবি নিয়ে নিগৃহীত যুবতী তালা খুলে ফেলেন। রাত সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যেই হোমের প্রত্যেকের অগোচরে বেরিয়ে পড়েন তিনি।
তদন্তে ধরা পড়ে গিয়েছে বৃদ্ধাশ্রম তথা হোমটির কর্মীদের একের পর এক মিথ্যা বক্তব্য। নিজেদের বাঁচানোর জন্যে কের পর এক মিথ্যে কথা বলেছে বৃদ্ধাবাসের এক মহিলা কর্মী এবং মালিক।
অঞ্চলের প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা ঘেঁটে পুলিশ গাড়িগুলো এবং অপহরণের বহু তথ্য জানতে পেরেছে।
যে স্থানে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং যে স্থানে তাঁকে ধর্ষণের পর গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া হয়, সে দুটো স্থানই শনাক্ত করেছে পুলিশ।
মোটামুটি ৪০ মিনিট যুবতীর ওপর অত্যাচারের পর তারা যুবতীকে খালের কাছে ঠেলে ফেলে দেয়। এর পর তিনি যে সোনারপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বালিগঞ্জে আসেন, পুলিশের হাতে সেই প্রমাণও এসেছে।
এদিকে নির্যাতিতার পরিবার কিন্তু জানিয়েছিল, নিগৃহীতা রক্তমাখা পোশাক পরে গড়িয়াহাটে মাসির বাড়ি আসেন। কিন্তু তিনি যে ওই পোশাক পরে ছিলেন না, তার প্রমাণও পুলিশ পেয়েছে।
এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, মানসিকভাবে সবল না হওয়ার জন্যে যুবতীর কথার মধ্যে বাঁধুনি নেই। তাই বিশেষজ্ঞর সাহাযে্য যুবতীর বক্তব্য জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।