সমগ্র দেশ জুড়ে চলমান গণপিটুনির ঘটনা এবং ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দেয়া, সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লেখেন।
২৩ তারিখে লেখা ওই চিঠির প্রত্যুত্তর দিয়ে ৬১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পাল্টা চিঠি লিখলেন। এই খোলা চিঠিতে পূর্বের চিঠি প্রেরকদের মধ্যে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব রয়েছে বলে আক্রমণ করা হয়, এবং বলা হয় পূর্বের বিশিষ্ট নাগরিকরা মিথ্যে এবং অপমানজনক অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
নতুন চিঠিটি লিখেছেন সেন্সর বোর্ডের মুখ্য প্রসূন যোশী, বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত, চিত্র পরিচালক মধুর ভান্ডারকর, অভিনেতা বিবেক অগ্নিহোত্রী এবং ধ্রুপদী নর্তক তথা সাংসদ সোনাল মানসিং।
নরেন্দ্র মোদীকে প্রেরণ করা সেই চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে আদুর গোপালকৃষ্ণন, মনিরত্নম, শ্যাম বেনেগাল, অনুরাগ কাশ্যপ, শুভা মুদগল, বিনায়ক সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ. অঞ্জন দত্ত, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, পরমব্রত, ঋদ্ধি সেন, কঙ্কনা সেনশর্মার মতো আরও অনেক ক্ষেত্রের ৪৯ বিশিষ্টজনের ।
সাংবাদিক সম্মেলনে অপর্ণা সেন জানিয়েছিলেন, ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। সংখ্যালঘু, খ্রিষ্টান, দলিত, মুসলিম এদের উপরে অনবরত আক্রমণ করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমরা সরব হয়েছি। এতে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন মাত্র এই বিষয়টি দেখার জন্য। এই ধরনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এদের যাবজ্জীবন হওয়া দরকার। কারণ এ তো খিুন। হিন্দুদের সঙ্গেও এই অনাচার হলে বলব। মুসলিমদের উপরে হলেও বলব। যে কোনও মানুষকেই এভাবে গণপিটুনির মাধ্যমে যেন হত্যা না করা হয়’।
অপর্ণা সেনসহ ৪৯ জনের চিঠির প্রশংসা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জীও।