আজ বাঙালি ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী এবং ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী বটুকেশ্বর দত্ত-র ৫৪তম প্রয়াণ দিবস।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে উনিশ শতকের শূন্য দশকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন বটুকেশ্বর দত্ত।
কানপুরে কলেজে পড়ার সময় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন বটুকেশ্বর দত্ত। জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনে।
১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আইনসভা কক্ষে ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত বোমা ফেলেন, “ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগান দিয়ে দেশমুক্তির দাবিতে লিফলেট ছড়ান ও তারপর দু’জনেই স্বেচ্ছায় ধরা দেন।
লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরুর ফাঁসি হলেও বটুকেশ্বর দত্তের বয়স কম থাকায় তাঁকে ১৯৩০ সালের ৬ জুন ব্রিটিশ সরকার আন্দামানের সেলুলার জেলে পাঠিয়ে দেয়।
যদিও ফাঁসি হয়নি। পরে তিনি জেল থেকে মুক্ত হন।
১৯৬৩ সালে তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য হন।
বটুকেশ্বর দত্ত বিপ্লবী সদস্যদের নিকট বি কে নামে পরিচিত ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ থানা এলাকার ওঁয়াড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বটুকেশ্বর দত্ত। ওয়ারি গ্রাম এখন পড়ে পূর্ব বধমান জেলায়। সেখানেই জন্ম হয়েছিল তাঁর | ১৯১০-এর ১৮ নভেম্বর । কিছুদিন ওঁয়াড়ি গ্রামে থাকার পর বাবার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে চলে যান।
১৯৬৫ সালের ১৯ জুলাই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমসে বটুকেশ্বর দত্তের মৃত্যু হয়।