ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের গাফিলতির দায় তাঁদেরই নিতে হবে। জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের বৌবাজারে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরের বাসিন্দাদের শীঘ্রই এককালিন সাহায্য হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ, কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ওই দাবি জানান মমতা।
৫ লক্ষ টাকা করে এককালিন সাহায্যের কথায় কেএমআরসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মানস সরকার জানিয়েছেন, তিনি নিজেদের বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন।
এই এককালিন সাহায্যের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যদিও হয়নি এখনো কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাকি দাবিগুলো মেনে নিয়েছে মেট্রো রেল।
বৌবাজারে যে সমস্ত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো যতদিন পর্যন্ত না ঠিক হচ্ছে, সেই আবাসিকদের ভাড়া বাড়িতে থাকতে হবে। সে সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেয়া হবে মেট্রো্র তরফ থেকে। এছাড়া যাঁদের দোকানও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, সেগুলো তৈরি করে দেবে মেট্রো।
প্রসঙ্গত, ধর্মতলা থেকে বৌবাজার হয়ে শিয়ালদা পর্যন্ত মেট্রো টানেলের কাজ চলছে। টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার পূর্বে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল কিনা জানা নেই, তবে মেট্রো রেলের দাবি তাঁরা মাটি পরীক্ষা করেই নিয়েছিলেন।
তাঁদের দাবী অনুযায়ী, মাটি পরীক্ষার সময় কোন ফুটো বা ওয়াটার পকেটের বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। কিন্তু প্রবল সংকট মুহূর্তে শনিবার ধরা পড়ে যে মাটির নীচে সৃষ্টি হয়েছিল বহু অ্যাকুইফার বা ওয়াটার পকেট। যা কিনা সাধারণ মাটি পরীক্ষায় কখনোই ধরা পড়েনি!
এই ওয়াটার পকেট লিক করে বিপজ্জনকভাবে জল ঢুকে যায় সুড়ঙ্গে। ফলে ওপরের মাটি প্রচণ্ড গতিতে ধ্বসতে শুরু করে এবং বাড়িগুলোতে ফাটল দেখা দিতে থাকে!
বর্তমানে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই সুড়ঙ্গে জল ঠেকানোর কাজ চলছে। আজ বুধবার চতুর্থ জন বিশেষজ্ঞের বৌবাজারে আসার কথা।