হিসেবে নাকি ভীষণ গণ্ডগোল ছিল! তাই সঠিক তথ্যটি দেয়া সম্ভব হয়নি। বিলকুল ভুল হয়ে গেছে! জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজিব সিংহ।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার এমন হাস্যকর কথাই নবান্নে জানালেন রাজীব সিংহ।
‘কোভিড-১৯ সংক্রামিত তথ্য রিপোর্টিংয়ের যে পদ্ধতি আমাদের ছিল, তা খুব জটিল। ফলে বেশ কিছু তথ্য এবং পরিসংখ্যান নথিভুক্ত হয়নি। আর সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে তথ্যের একটা পার্থক্য। বিলকুল ভুল হয়ে গেছে। সেই সমস্যা দূর করা হয়েছে এবং সামগ্রিক তথ্য সঙ্কলিত করা হয়েছে।”
উল্লেখযোগ্য যে, করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল রাজ্যবাসীর। সঠিক তথ্য কোনভাবেই সামনে আসছিল না।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যে এতো কম সংখ্যক কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হচ্ছিল, সে নিয়ে সারা দেশের মানুষের ভয়ংকর সন্দেহ থেকেই যাচ্ছিল।
এবার প্রকাশ্যে এলো যে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১হাজার২৫৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৯০৮ জন এখনও চিকিৎসাধীন।করোনায় এখনও পর্যন্তমারা গিয়েছেন ৬১ জন। রোগমুক্ত হয়েছেন ২১৮ জন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার এমন তথ্যই নবান্নে জানালেন রাজীব সিংহ।
এছাড়াও, এবার মুখ্যসচিব এবার খোলস খুলতে বাধ্য হয়েছেন। মুখ্যসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। কারণ রবিবার পর্যম্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৫০। মুখ্যসচিবের দাবি, রাজ্যে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যা পিছু মৃত্যুর সংখ্যা ১.৪৭। সুস্থ হয়ে ওঠার হার প্রতি ১০ লাখে ১৩.৯৮। প্রতি ১০ লাখ নমুনা পরীক্ষায় ১৩.৯৮ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কোভিড-১৯-এ মৃত্যু প্রসঙ্গে রাজীব সিংহ জানান, রাজ্য নিযুক্ত কোভিড মৃত্যু সংক্রান্ত অডিট কমিটি ১০৫ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু নিয়ে অডিট করে ৩৩ জনকে চিহ্নিত করে করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির জন্যে।