তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রদেশ কংগ্রেসের দলীয় নেতা-নেত্রীরা হামলে পড়ছে বিজেপি দলে। অন্তরে যাই থাকুক, সেকথা অন্তরেই থাক মা। বাইরে বেরোসনি। সকলেই একগাল হেসে বলছেন গেরুয়া দলে যোগদান কেবলই নিজের ইচ্ছেতে। দলের পাল্লা ভারি দেখে কেউই বিজেপি দলে নাম লেখাননি বলে কোমল সুরে জানাচ্ছেন উত্তর-পূর্বের নেতা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের নেতা!
যাই হোক। কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে পদ্ম শিবিরে সামিল করিয়ে যেন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
তিনি ঘোষণা করেছেন, শুধু শোভন চট্টোপাধ্যায়ই নন। এখন অবধি গেরুয়া বসন গায়ে জড়ানোর জন্যে লাইন দিয়ে রয়েছেন ১০০ জনের অধিক বিধায়ক। বিজেপির সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলছেন তাঁরা।
কিন্তু দলে যোগ দেবার জন্যে কাকে ছাড়পত্র প্রদান করা হবে, সে সিদ্ধান্ত দলের। সেই দায়িত্ব দলের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন মুকুল।
২০১১ সাল পর্যন্ত মমতার মমতা হয়ে ওঠার পিছনে যাদের হাত রয়েছে তাঁদের মধ্যে একজন শোভন। তিনি বিজেপি দলে নাম লিখিয়েছেন স্বাধীনতা দিবসের পূর্ব দিন।
তৃণমূলের এমন ভাঙন অবস্থায় পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জনসংযোগ বাড়ানোর জন্যে যে প্রকল্পগুলো একে একে চালু করছেন, তা কি আদৌ সফল হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ?