পাকিস্তান-বাংলাদেশের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে খুলে যাচ্ছে মন্দির, মসজিদ, গির্জা-সহ সমস্ত ধর্মীয় স্থান।
আগামী ১ জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় স্থানের দরজা খুলে দেওয়া যাবে বলে এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ধর্মীয় স্থানগুলো খুলে দেয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু সচেতন নাগরিকরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কারণ রাজ্যে করোনা যে সময় ভয়ানক রূপ নিচ্ছে সে জায়গায় সরকার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মন্দির-মসজিদ খোলার! এর পরিণাম আরো ভয়ানক হবে!
১ জুন থেকে খুলবে জুটমিল, চায়ের দোকানও।
মমতা বলছেন, শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন।সেখানে কি আদৌ কোনও সুরক্ষাবিধি মানা হচ্ছে। একটা সিটে তিন জন করে আসছেন, গাদাগাদি অবস্থা।ট্রেনে এতগুলো মানুষ গাদাগাদি করে যেতে পারলে চায়ের দোকান, মন্দির, অফিস, জুটমিলও খুলুক।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট করোনা নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াইটা তিনি জারি রাখছেন এবং রাখবেন!
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দেশজুড়ে লকডাউন চললেও নানা বিধিনিষেধ শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার কোনও যুক্তি নেই বলে তাঁর অভিমত।যে কারণে ১ জুন থেকে ধীরে ধীরে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কারো পক্ষ থেকে রাজ্যের সরকারকে জোর করা হয়েছে ধর্মীয় স্থান খোলার জন্যে? তবে কেন পরিস্থিতির কথা চিন্তা না করে কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে, নিজের চেয়ার ধরে রাখতে গিয়ে রাজ্যের মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নাগরিক নর্থ ইস্ট নাও’কে জানিয়েছেন এ কথা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষঅভিযোগের আঙুল তুলে বলছেন, এমার্জেন্সির থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যে। বিপর্যস্তদের ত্রাণ দিতে মমতাদের এমপি, এমএলএ, মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। আর বিজেপি গেলেই দোষ।
তিনি আরো দাবি করেন, রাজ্যপালের চাপেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। নইলে তাঁকেও দলের একাধিক নেতা-কর্মীদের মতো গ্রেফতার করা হত।দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, করোনা মোকাবিলায় সরকার প্রথম থেকেই নেগলিজেন্স দেখিয়েছে।যার ফলে আজকে বাংলায় করোনা আক্রান্তের পরিস্থিতি এই অবস্থায় পৌঁছেছে।
বলা বাহুল্য, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও তাঁর স্ত্রী।তারপর থেকেই সস্ত্রীক হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন মন্ত্রী।
এদিকে, ভারতে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামিকাল ৩১ মে’। দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অর্থনীতির হাল ধরে রাখতে হবে একইসঙ্গে। এ পরিস্থিতিতে পরের সিদ্ধান্ত কী হয়, তা লক্ষ্যণীয়।