আট থেকে আশি অনেকের মুখেই শোনা যায় কলাবউ এর কথা। আমরা সাধারণ ভাবে বলে থাকি- কলাবউ!

শরীরকে তরতাজা, প্রাণবন্ত, সুস্থ রাখতে মৌরির জুড়ি মেলা ভার। 

মূলত একসাথে বাঁধা থাকে কচু, হরিদ্রা বা হলুদ, জয়ন্তী, বিল্ব বা বেল, দাড়িম্ব বা ডালিম, অশোক, মানকচু এবং ধান- অর্থাৎ নয়টি উপাদান।

একটি কলাগাছের সঙ্গে বাকি ৮টি উদ্ভিদ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বাঁধা হয়। এবং তার স্ত্রী রূপ দেয়া হয়

বলা হয় যে, এই ৯টি উদ্ভিদ আসলে দেবী দুর্গার ৯টি রূপের প্রতীক

কলাগাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী, কচুর অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালী।

হরিদ্রার অধিষ্ঠাত্রী দেবী উমা, জয়ন্তীর অধিষ্ঠাত্রী দেবী কার্তিকী, বিল্বের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শিবা। এরকমভাবে আরো আছে। 

শরৎকালে আমন ধান কাটার সময় বাংলার মানুষজন শস্যসমৃদ্ধি, ফলন চেয়ে লৌকিক দেবীর পুজো করত। 

তারপর আশ্বিন মাসে দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু হয়। সেই সময় সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দুর্গার পাশে নবপত্রিকা স্থান পেয়েছে। 

আসলে ওটা কলা বউ বা গণেশের বউ নয়।