খানাখন্দ নাকি ম্যানহোল বোঝা দায়! ডিজিটেল ইণ্ডিয়া, ডিজিটেল মমতার রাজ্য। অথচ সেখানেই কিনা ‘ডুলি’ করে রোগিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়! দেখলে মনে হবে সাপে কাটা রোগিকে কলার ভেলা করে নদীতে ভাসিয়ে দিতে যাচ্ছে।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়তলির ঝালদা এক নম্বর ব্লকের মাঠারিখামার গ্রাম পঞ্চায়েতের দাঁতিয়া গ্রাম। প্রায় তিনশো পরিবার বাস করে সেখানে।
জীবনে বেঁচে থাকার আশ্রয় অধিকাংশেরই চাষবাস। মাঠারিখামার গ্রাম থেকে ব্লক সদর ঝালদায় আসার জন্যে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। এবং তা খানাখন্দ দিয়েই যেতে হয়।
সে রাস্তায় চার চাকার গাড়ি ঢোকার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই কেউ অসুস্থ হলে এভাবেই বাঁশ দিয়ে সোবার ব্যবস্থা করে চারদিকে পালকির মতো রোগিকে বহন করে নিয়ে যায় লোক।
জনগণ দিনের পর দিন এভাবেই নাজেহাল হচ্ছে। কেউ মারা যাচ্ছে, কেউ টিকে আছে। মাঠারিখামার পঞ্চায়েত গ্রামবাসীর কথায় গা নাড়ানোর প্রয়োজন মনে করে না।
কিন্তু নির্বাচনের সময় কাজে লাগে যুগের পর যুগ ধরে ঠকিয়ে আসা এই মানুষগুলোকেই। আশায় আশায় তারাও ফের ঠকে।